হবীগঞ্জ নবীগঞ্জে থামছেনা টিলা কাটা
- আপডেট সময় : ০২:২০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপেও নবীগঞ্জেচ থামছেনা টিলা কাটা। নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল খ্যাত দিনারপুর এলাকার পানিউম্দা ইউনিয়নের বড়চর এলাকায় টিলা কেটে মাটি বিক্রি ও শ্রেণি পরিবর্তন করেই যাচ্ছে একটি চক্র।
সম্প্রতি প্রশাসনের বিভিন্ন অভিযান, মামলা, জরিমানা আদায় ও গ্রেফতার করা হলেও ওই চক্রের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে পাহাড়ী টিলা। পরিবেশ আইন অমান্য করে দেদারসে চলছে টিলা কাটার মহোৎসব । বেআইনিভাবে পাহাড় কাটার কারণে হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র ও পরিবেশ?
স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রকাশ্যে ও রাতের আঁধারে কাটা হয় ওইসব টিলা।কেটে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে ফেলা হচ্ছে। কখনো প্রকাশ্যে কখনো রাতের আঁধারে টিলার মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করা হচ্ছে। আবার কেউ কেউ টিলা কেটে বসতি স্থাপন করছেন। এভাবে পাহাড়ী টিলা কাটার কারণে বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন পবিরেশবাদীরা।
সরেজমিনে নবীগঞ্জ উপজেলার ওই বড়চর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকার প্রভাবশালী পাহাড় খেকো শাহ্ রবিক মিয়া ও গোলাম মোস্তফার একটি সিন্ডিকেট একই গ্রামের ফজল মিয়ার দখলে থাকা সরকারি টিলা ও মেহের উল্ল্যার দখলে থাকা সরকারি টিলা রখম ভুমি থেকে রাতে ও দিনের বেলায় ভেকু মেশিন লাগিয়ে কাটছে মাটি। সেই মাটি একই গ্রামের আমেরিকা প্রবাসী দারাজ মিয়ার কাছে ছড়া দামে বিক্রি করেছে।
এছাড়াও অতিরিক্ত মাটি শাহ রকিব মিয়ার নিচু জমি ভরাট করেছে। পাহাড় কাটার সময় পল্লী বিদ্যুৎ এর একটি মেইন লাইনের খুঁটির চারপাশ খনন করার কারণে খুঁটিটি ঝুঁকির মুখে পড়েছে। ঘন বসতি বাড়ীঘর থাকার ফলে যে কোন সময় খুঁটি উপড়ে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে এনিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস নবীগঞ্জ ও বাহুবল উভয় অফিসের কর্মকর্তাগণ পরিদর্শন করেছে বলে পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস সূত্র জানিয়েছে। পাহাড় কাটার বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য নিতে চাইলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমীন জানান, পাহাড় কাটার খবর ফেলেই অভিযান চালানো হয়। এ অভিযান অব্যাহত আছে। বিভিন্ন সময় জেল জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। এ বিষয়েও খোঁজ খবর নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


























