সিলেটে পুলিশের অ্যাকশন, আতঙ্কে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক পালাচ্ছেন

- আপডেট সময় : ০৩:৩০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
বিরতির পর আবার সিলেটের রাজপথে শুরু হয়েছে পুলিশের অ্যাকশন। চলছে অবৈধ যানবাহন পাকড়াও। সিলেট মহানগরীকে অবৈধ যানবাহন মুক্ত করতে এ অভিযান চলবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে আতঙ্কে অনেক ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক শহর ছাড়তে শুরু করেছেন।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোট ৩৭টি অবৈধ যানবাহন আটক করা হয়েছে। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া বিশেষ অভিযান চলে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই তিনদিনে আড়াই শতাধিক অবৈধ যানবাহন আটক করার পাশাপাশি প্রায় ৮১টি মামলাও দায়ের করা হয়।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর কয়েকটি গ্যারেজে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিব। তারা মোট ১০টি মিটার, বৈদ্যুতিক কেবল ও প্রচুর চার্জিং পয়েন্ট জব্দ করে।
সিলেট নগরীকে যানজট মুক্ত করতে পুলিশের এই অভিযান। আর আটককৃত যানবাহনের মধ্যে সিংহভাগই হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। মূলত সিলেট নগরীর যানজটের জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সচেতন নগরবাসী, সবাই দায়ী করছেন তাদেরকে। আর ঝড়টা বেশী যাচ্ছে তাদের উপর দিয়েই।
সিলেট মহানগরীতে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলছিল। রাজপথে তাদের চলাচল ছিল অনেকটা বেপরোয়া। এখনো যে চলছে না তা নয়। প্রতিদিনই নগরীর বিভিন্ন সড়কে তাদের উপস্থিতি দেখছেন নগরবাসী।
তবে এরমধ্যে অনেকেই নগর ছেড়েছেন। ট্রাকে বা ভ্যানে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে অনেকেই চলে গিয়েছিনে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল বা উপজেলা সদরে। চলে যাওয়ার সেই দৃশ্যগুলোর ভিডিও ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এদিকে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে সচেতন নগরবাসীর প্রায় সবাই একমত হলেও তাদের মানবিক বিবেচনায় পাড়া-মহল্লায় চলতে দেওয়ার দাবিও উঠছে। ক্ষিন হলেও সেরকম আওয়াজও উঠেছে এবং সম্প্রতি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ সিলেটের দুই নেতা আবুজাফল ও প্রণবজ্যোতি পালকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। তারা এখনো কারাগারে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সম্প্রতি ব্যাটারিচালিত রিকশা চালক ও মালিকদের পক্ষে অনুষ্টিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিভিন্ন ধরনে যানবাহন ও চালকদের উপর তারা হামলা করেছেন।
বিশেষ অভিযান শুরুর আগে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আব্দুল কুদ্দুছ চৌধুরী পিপিএম ঘোষণা দিয়েছিলেন, অবৈধ যানবাহনগুলোকে মেট্রোপলিটনের বাইরে পাঠানো হবে। আপাতত সিলেট মহানগরী সেই দিকে এগুচ্ছে বলেই মনে করছেন সচেতন মহল।