ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান সিলেটে রবিবার যে সব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না বিপিজেএ সিলেট বিভাগীয় কমিটির নতুন সভাপতি পাভেল ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বী বিশ্বনাথের ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছের চারা বিতরণ করলেন- ইউএনও সিলেটে চোরাই পণ্যের বিশাল চালান আটক রাষ্ট্র যদি ন্যায়বিচার নিশ্চিত না করে, তবে জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা চরম হুমকির মুখে পড়বে-সাকি বলিউড নায়িকাদের রূপের রহস্য ফাঁস করলেন চিকিৎসক নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কানে যা বললেন বর্ষা বছরে রোনালদো পান সাড়ে তিন হাজার কোটি, উপার্জন কমেছে মেসির সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতকে হারিয়েই শিরোপা জিততে হবে বাংলাদেশকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে জুনে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৯ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল ব্যতীত) শব্দ দুটি পুনর্বহাল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।গত ১৩ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তব সম্মত বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরাইল ব্যতীত বিশ্বের সব দেশের জন্য প্রযোজ্য’ বাক্যটি পুনরায় সংযোজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত। এতে দেশের মানুষের জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে। পাশাপাশি শুধু মুসলিম বিশ্বের ঐক্য দিয়ে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।

শনিবার এফডিসিতে ‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে গাজাকে রক্ষা করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছায়া সংসদ আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

এদিন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছায়া সংসদে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, গাজায় যা হচ্ছে তা অমানবিক, বর্বর ও চরম নিষ্ঠুরতা। স্বজ্ঞানে একটি জাতিকে নিধনের চেষ্টা। মার্কিনিরা চাইছে গাজাবাসীকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করে বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন করতে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সক্ষমতা মুসলিম বিশ্বের নাই। তেলের প্রধান উৎপাদক এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ। মুসলিম বিশ্ব এখন এককভাবে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে না। 

এ সময় সাবেক এই রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়েও কথা বলেন।তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে ওয়াকফ সংশোধনী বিল অহেতুক সমস্যা তৈরি করবে। যা না হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটি একটি রাজনৈতিক প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এই আইনটি মুসলমানদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গভীর সংকটে আজ ফিলিস্তিন। রক্তে ভাসছে গাজা। ইসরাইলি গণহত্যার হাত থেকে নারী-শিশু, চিকিৎসক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক কেউই রেহাই পাচ্ছে না। গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছে। জঘন্যতম বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়ে গাজা এখন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মৃত্যুপুরী গাজায় খাদ্য নেই, পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, ওষুধ নেই, চিকিৎসা নেই। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি। হাসপাতালে, পথে-ঘাটে লাশের সারি। চতুর্দিকে মরা মানুষের গন্ধ। গণকবরে পরিণত করা হয়েছে গাজাকে।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চাপে যতটুকু ত্রাণ দেওয়া হয়েছে গাজায়, তার চেয়েও বেশি অশ্রু ও রক্ত ঝরেছে। কিন্তু যে যৎসামান্য মানবিক ত্রাণসহায়তা দেওয়া হতো তা-ও এখন বন্ধ রেখেছে ইসরাইল। বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো বিভক্তি নেই। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে ফিলিস্তিনবাসীর এই লড়াই একার কোনো লড়াই নয়। গাজার মানুষের সমর্থনে বাংলাদেশে ‘মার্চ ফর গাজা’ প্রমাণ করেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ লড়াই আমাদেরও লড়াই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত

আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল ব্যতীত) শব্দ দুটি পুনর্বহাল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।গত ১৩ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়েছে।অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তব সম্মত বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘ইসরাইল ব্যতীত বিশ্বের সব দেশের জন্য প্রযোজ্য’ বাক্যটি পুনরায় সংযোজন করা অন্তর্বর্তী সরকারের বাস্তব সম্মত সিদ্ধান্ত। এতে দেশের মানুষের জনমতের প্রতিফলন ঘটেছে। পাশাপাশি শুধু মুসলিম বিশ্বের ঐক্য দিয়ে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে দরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও জাতিসংঘের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা।

শনিবার এফডিসিতে ‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে গাজাকে রক্ষা করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছায়া সংসদ আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। 

এদিন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছায়া সংসদে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকদের পরাজিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, গাজায় যা হচ্ছে তা অমানবিক, বর্বর ও চরম নিষ্ঠুরতা। স্বজ্ঞানে একটি জাতিকে নিধনের চেষ্টা। মার্কিনিরা চাইছে গাজাবাসীকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করে বিনোদনকেন্দ্র স্থাপন করতে। 

তিনি বলেন, বর্তমানে তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার সক্ষমতা মুসলিম বিশ্বের নাই। তেলের প্রধান উৎপাদক এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশ। মুসলিম বিশ্ব এখন এককভাবে তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখে না। 

এ সময় সাবেক এই রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে পাশ হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়েও কথা বলেন।তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে ওয়াকফ সংশোধনী বিল অহেতুক সমস্যা তৈরি করবে। যা না হওয়া বাঞ্ছনীয়। এটি একটি রাজনৈতিক প্রকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। এই আইনটি মুসলমানদের অধিকার ক্ষুণ্ন করবে।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গভীর সংকটে আজ ফিলিস্তিন। রক্তে ভাসছে গাজা। ইসরাইলি গণহত্যার হাত থেকে নারী-শিশু, চিকিৎসক, মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক কেউই রেহাই পাচ্ছে না। গাজাকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করা হয়েছে। জঘন্যতম বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়ে গাজা এখন ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মৃত্যুপুরী গাজায় খাদ্য নেই, পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, ওষুধ নেই, চিকিৎসা নেই। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষের বেঁচে থাকার আকুতি। হাসপাতালে, পথে-ঘাটে লাশের সারি। চতুর্দিকে মরা মানুষের গন্ধ। গণকবরে পরিণত করা হয়েছে গাজাকে।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক চাপে যতটুকু ত্রাণ দেওয়া হয়েছে গাজায়, তার চেয়েও বেশি অশ্রু ও রক্ত ঝরেছে। কিন্তু যে যৎসামান্য মানবিক ত্রাণসহায়তা দেওয়া হতো তা-ও এখন বন্ধ রেখেছে ইসরাইল। বাংলাদেশের মানুষ ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো বিভক্তি নেই। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে ফিলিস্তিনবাসীর এই লড়াই একার কোনো লড়াই নয়। গাজার মানুষের সমর্থনে বাংলাদেশে ‘মার্চ ফর গাজা’ প্রমাণ করেছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে এ লড়াই আমাদেরও লড়াই।