ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে আগামী নির্বাচন ইসলাম ও ইসলামী আ ন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরুপ: ডা.শফিকুর মেসির শেষ বিশ্বকাপ জার্সিতে ছোঁয়া আছে ম্যারাডোনারও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৮৪ অবৈধ অভিবাসী আটক মবের ভয়ে থাকা সাংবাদিকরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’: প্রেস সচিব চট্টগ্রামে নির্বাচনি গণসংযোগে হামলা, বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট, গ্রেফতার ৬ সিলেট জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার চোরাইপন্য সহ মাইক্রোবাস আটক বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

সাদাপাথরে থামছে না পাথর লুট, আটক ১০ ট্রলি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিলেটের পর্যটন এলাকা সাদাপাথর থেকে কিছুতেই থামাছেনা পাথর লুট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান  অব্যাহত, সর্বশেষ পুলিশের অভিযানে ১০টি ট্রলি আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দয়ারবাজার এলাকা থেকে সাদাপাথর বুঝাই এই ট্রলি গুলো আটক করা হয়। সকাল থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে সাদাপাথর থেকে লুট করে নিয়ে আসা পাথর বুঝাই করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ১০টি ট্রলি। পরে সেগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সূত্র বলছে, ৫ আগস্টের পর রাতদিন চলছে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ও বাঙ্কার থেকে পাথর লুটপাট। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় প্রায় শতকোটি টাকার পাথর লুটপাট হয়েছে। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি থামাতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন ৯জন। তাদের অভিযোগ সাদাপাথর ও বাঙ্কার পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি থামাতে যাওয়ায় তাদেরকে চাঁদাবাজ বানানো হয়েছে।

পাথর ক্রয়বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন, দিনে বাঙ্কার থেকে পাথর তুলে মজুদ করা হয় আর রাত হলেই সেই পাথরের সাথে পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর নিয়ে আসা হয়। নৌকা দিয়ে সেই পাথর গুলো ভোলাগঞ্জ দশ নম্বর, নয়া বাজার, দয়ার বাজার ও কলাবাড়ী এলাকায় নদীর তীরে রাখা হয়। পরে সেই পাথর গুলো ছোট ছোট ট্রলি দিয়ে স্থানীয় ক্রাশার মিলে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও এই পাথর হাইড্রলিক্স ট্রাক দিয়ে ধোপাগুলের মিলে বিক্রি করা হয়। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এতদিন তারা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করলেও এখন পুলিশের কড়াকড়িতে পাথর পরিবহনে অনেকটা অনিরাপদ হয়ে গেছে। কিন্তু সাদাপাথর ও বাঙ্কার থেকে নৌকা দিয়ে পাথর আসছে অহরহ।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা হাবিবুর রহমান মামুন জানান, পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর ও বাঙ্কার থেকে থেকে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম। সেনাবাহিনীকে নিয়ে রাস্তায় অভিযান দিয়ে বেশ কিছু পাথরও আটক করেছিলাম। আমাদের তৎপরতায় পাথর লুটপাটকারীদের সমস্যা হওয়ায় আমাদেরকে চাঁদাবাজ বানিয়ে তারা জেলে পাঠিয়েছিল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে দয়ার বাজার এলাকায় আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন আমাদেরকে চাঁদাবাজ সাজিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। সাদাপাথর লুটপাট বন্ধে পুলিশ আরো কঠোর হবে এটাই প্রত্যাশা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, পর্যটন কেন্দ্র ও বাঙ্কার থেকে পাথর চুরির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার রয়েছি। পুলিশ নিয়মিত অভিযান দিচ্ছে। পর্যটন দিবসেও সাদাপাথরের পাথর চুরি হচ্ছে এমন সংবাদে শুক্রবার সকালে আমরা অভিযান চালাই। অভিযানে ১০টি পাথর বুঝাই ট্রলি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা ট্রলির মালিকদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সাদাপাথরে থামছে না পাথর লুট, আটক ১০ ট্রলি

আপডেট সময় : ০১:৫২:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি :

সিলেটের পর্যটন এলাকা সাদাপাথর থেকে কিছুতেই থামাছেনা পাথর লুট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান  অব্যাহত, সর্বশেষ পুলিশের অভিযানে ১০টি ট্রলি আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার দয়ারবাজার এলাকা থেকে সাদাপাথর বুঝাই এই ট্রলি গুলো আটক করা হয়। সকাল থেকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনানের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানে সাদাপাথর থেকে লুট করে নিয়ে আসা পাথর বুঝাই করার সময় হাতেনাতে আটক করা হয় ১০টি ট্রলি। পরে সেগুলো থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সূত্র বলছে, ৫ আগস্টের পর রাতদিন চলছে সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র ও বাঙ্কার থেকে পাথর লুটপাট। পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকায় প্রায় শতকোটি টাকার পাথর লুটপাট হয়েছে। এই লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সোচ্চার ছিল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি থামাতে গিয়ে আটক হয়েছিলেন ৯জন। তাদের অভিযোগ সাদাপাথর ও বাঙ্কার পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি থামাতে যাওয়ায় তাদেরকে চাঁদাবাজ বানানো হয়েছে।

পাথর ক্রয়বিক্রয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন, দিনে বাঙ্কার থেকে পাথর তুলে মজুদ করা হয় আর রাত হলেই সেই পাথরের সাথে পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর নিয়ে আসা হয়। নৌকা দিয়ে সেই পাথর গুলো ভোলাগঞ্জ দশ নম্বর, নয়া বাজার, দয়ার বাজার ও কলাবাড়ী এলাকায় নদীর তীরে রাখা হয়। পরে সেই পাথর গুলো ছোট ছোট ট্রলি দিয়ে স্থানীয় ক্রাশার মিলে বিক্রি করা হয়। এছাড়াও এই পাথর হাইড্রলিক্স ট্রাক দিয়ে ধোপাগুলের মিলে বিক্রি করা হয়। তবে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন এতদিন তারা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করলেও এখন পুলিশের কড়াকড়িতে পাথর পরিবহনে অনেকটা অনিরাপদ হয়ে গেছে। কিন্তু সাদাপাথর ও বাঙ্কার থেকে নৌকা দিয়ে পাথর আসছে অহরহ।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকা হাবিবুর রহমান মামুন জানান, পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথর ও বাঙ্কার থেকে থেকে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার ছিলাম। সেনাবাহিনীকে নিয়ে রাস্তায় অভিযান দিয়ে বেশ কিছু পাথরও আটক করেছিলাম। আমাদের তৎপরতায় পাথর লুটপাটকারীদের সমস্যা হওয়ায় আমাদেরকে চাঁদাবাজ বানিয়ে তারা জেলে পাঠিয়েছিল। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে পাথর লুটপাট ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে দয়ার বাজার এলাকায় আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন আমাদেরকে চাঁদাবাজ সাজিয়ে জেল হাজতে পাঠায়। সাদাপাথর লুটপাট বন্ধে পুলিশ আরো কঠোর হবে এটাই প্রত্যাশা।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, পর্যটন কেন্দ্র ও বাঙ্কার থেকে পাথর চুরির বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার রয়েছি। পুলিশ নিয়মিত অভিযান দিচ্ছে। পর্যটন দিবসেও সাদাপাথরের পাথর চুরি হচ্ছে এমন সংবাদে শুক্রবার সকালে আমরা অভিযান চালাই। অভিযানে ১০টি পাথর বুঝাই ট্রলি আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা ট্রলির মালিকদের খোঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।