ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ ফেরানোর আহ্বান ৩ প্রভাবশালী দেশের তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন মির্জা ফখরুল বিদেশে বসে আ.লীগের আন্দোলনের ডাক, যা বললেন জান্নাতুন নাঈম বিমসটেক সম্মেলন ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি,লাগাতার কর্মসূচি এনসিপির মাধবপুরে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় কিসমিস আটক বাহুবলের মিরপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ৫ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ভারতকে হারাতে চায় হামজায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আজমিরীগঞ্জে এবার শুরু নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব

সুনামগঞ্জ চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক :

সুনামগঞ্জ শহরের পৌর এলাকার নবীনগরে ৬ বছরের শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে। গত শনিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর একই এলাকার অভিযুক্ত ইদ্রিস আলীর ছেলে আলা উদ্দিন (২০) পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা অন্যের বাসায় কাজ করতে ও বাবা ভ্যান নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ির পাশে উঠানে একাই খেলা করছিলো ছোট্ট শিশুটি। এসময় পাশের বাড়ির ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আলা উদ্দিন (২০) চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে হাতে ১০ টাকা গুজে দেয়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি কান্না করতে করতে ঘরের বাইরে এলে প্রতিবেশিরা শিশুটির পড়নের কাপড় ভেজা দেখতে পান। ঘটনার পরপরই শিশুটির ভ্যান চালক বাবা ও গৃহকর্মী মা শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।রাতে ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের এসআই মতিউর রহমান ঘটনাস্থতে যান। রাত ভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে ধরতে না পেরে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় আলা উদ্দিনের বাবা ইদ্রিস আলী (৫০), মা দিল বাহার (৪৫), মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর (২৫) ও বোন জামাই বিল্লাল হোসেনকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। 

ভিকটিমের ভ্যানচালক বাবা বলেন, আমি ভ্যানগাড়ি চালাই। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে শুনি পাশের বাসার ইদ্রিস আলীর ছেলে আলাউদ্দিন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে মেয়েকে নিয়ে মেডিকেলে যাই। সকালে থানায় এসেছি। তিনি বলেন, আমার অবুঝ শিশুকে আলাউদ্দিন নিয়ে খারাপ কাজ করেছে। ওর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই আমি। ভিকটিমের মা বলেন, আমার মেয়ের ৬ বছর চলে। দুপুরে কাজ করতে অন্য বাসায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে শুনি আমার বাচ্চাকে ধর্ষণ করেছে। দেখি বাচ্চার জামায় ময়লা লাগানো। এরপর হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি। এখন থানায় এসেছি। এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই আমি। ভিকটিমের এক নিকট আত্মীয় বলেন, আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। সবারই মা-বোন আছে। সে মানুষ নয়, পশু। একম পশুর শাস্তি নিশ্চিত করবে প্রশাসন এই আশা করি।

সুরমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো মঙ্গল মিয়া বলেন, আমি রাতে শুনেছি। এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা। অভিযুক্ত আলাউদ্দিনকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের অন্য ইউপি সদস্যদেরও বলেছি তাকে ধরে পুলিশে দেয়ার জন্য। এধরণের অপরাধীদের প্রশয় দিলে সমাজে আরও এরকম ঘটনা ঘটবে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ডা. লিপিকা দাস বলেন, ভিকটিমের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য বলেন, ঘরের ভেতরেও আমাদের কন্যা শিশুরা নিরাপদ নয়। কন্যা শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এফআইআরের মাধ্যমে দ্রুত আসামীর গ্রেফতারের জোর দাবী জানাই।সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, শিশু ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই মামলা নিবো। এই সংবাদটি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। এছাড়াও কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুনামগঞ্জ চকলেটের লোভ দেখিয়ে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

আপডেট সময় : ০২:২২:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক :

সুনামগঞ্জ শহরের পৌর এলাকার নবীনগরে ৬ বছরের শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে। গত শনিবার বিকালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর একই এলাকার অভিযুক্ত ইদ্রিস আলীর ছেলে আলা উদ্দিন (২০) পলাতক রয়েছে।

পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা অন্যের বাসায় কাজ করতে ও বাবা ভ্যান নিয়ে বাজারে গিয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে নিজ বাড়ির পাশে উঠানে একাই খেলা করছিলো ছোট্ট শিশুটি। এসময় পাশের বাড়ির ইদ্রিস মিয়ার ছেলে আলা উদ্দিন (২০) চকলেট খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে হাতে ১০ টাকা গুজে দেয়। পরে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের শিকার শিশুটি কান্না করতে করতে ঘরের বাইরে এলে প্রতিবেশিরা শিশুটির পড়নের কাপড় ভেজা দেখতে পান। ঘটনার পরপরই শিশুটির ভ্যান চালক বাবা ও গৃহকর্মী মা শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।রাতে ঘটনার খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় পুলিশের এসআই মতিউর রহমান ঘটনাস্থতে যান। রাত ভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে ধরতে না পেরে তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করায় আলা উদ্দিনের বাবা ইদ্রিস আলী (৫০), মা দিল বাহার (৪৫), মামাতো ভাই জাহাঙ্গীর (২৫) ও বোন জামাই বিল্লাল হোসেনকে (৩৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। 

ভিকটিমের ভ্যানচালক বাবা বলেন, আমি ভ্যানগাড়ি চালাই। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম। সন্ধ্যায় বাসায় গিয়ে শুনি পাশের বাসার ইদ্রিস আলীর ছেলে আলাউদ্দিন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। পরে মেয়েকে নিয়ে মেডিকেলে যাই। সকালে থানায় এসেছি। তিনি বলেন, আমার অবুঝ শিশুকে আলাউদ্দিন নিয়ে খারাপ কাজ করেছে। ওর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই আমি। ভিকটিমের মা বলেন, আমার মেয়ের ৬ বছর চলে। দুপুরে কাজ করতে অন্য বাসায় গিয়েছিলাম। সেখান থেকে এসে শুনি আমার বাচ্চাকে ধর্ষণ করেছে। দেখি বাচ্চার জামায় ময়লা লাগানো। এরপর হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছি। এখন থানায় এসেছি। এই ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই আমি। ভিকটিমের এক নিকট আত্মীয় বলেন, আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। সবারই মা-বোন আছে। সে মানুষ নয়, পশু। একম পশুর শাস্তি নিশ্চিত করবে প্রশাসন এই আশা করি।

সুরমা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো মঙ্গল মিয়া বলেন, আমি রাতে শুনেছি। এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক ঘটনা। অভিযুক্ত আলাউদ্দিনকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমাদের অন্য ইউপি সদস্যদেরও বলেছি তাকে ধরে পুলিশে দেয়ার জন্য। এধরণের অপরাধীদের প্রশয় দিলে সমাজে আরও এরকম ঘটনা ঘটবে। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের ডা. লিপিকা দাস বলেন, ভিকটিমের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্য্য বলেন, ঘরের ভেতরেও আমাদের কন্যা শিশুরা নিরাপদ নয়। কন্যা শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এফআইআরের মাধ্যমে দ্রুত আসামীর গ্রেফতারের জোর দাবী জানাই।সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, শিশু ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই মামলা নিবো। এই সংবাদটি পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্তকে ধরতে আমাদের অভিযান চলছে। এছাড়াও কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান তিনি