ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান যেদিন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান সিলেটে হ ত্যা মামলায় সাংবাদিকসহ ৩১৮৪ আসামী জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেমুসাসের কর্মসূচি আগামী ২৫জুলাই, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের বরণ করতে প্রস্তুত সিলেটবাসী প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু

বোরকার ভেতরে দুষ্টামি-ভণ্ডামি বেশি লুকিয়ে থাকে’ শিক্ষার্থীকে অধ্যক্ষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

 ভিউ নিউজ ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর হিজাব নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।  

মানববন্ধনে কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে হিজাব নিয়ে কটূক্তি, বোরকা ধরে টানাটানি, হিজাব পরা ছাত্রীদের অপমান করাসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থী সূত্র জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনার ও মেলা উপভোগ করতে আসেন ওই কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আঞ্জুমান আক্তার আঁখি ও তার ছোট বোন। ওই দিন কলেজে দুই বোন হিজাব-বোরকা পরিধান করে একসঙ্গে নারী শিক্ষার্থীদের কমনরুমে যাওয়ার সময় কলেজ অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজ তাদের বোরকা-হিজাব পরিধান নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি করেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সামনে ছাত্রীদের বোরকা-হিজাব পরে আসায় অপমান করেন এবং বোরকা পরে আসতে নিষেধ করেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আঞ্জুমা আক্তার আঁখি জানান, আমাকে ও আমার ছোট বোনকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় দেখামাত্রই অধ্যক্ষ ম্যাডাম বিভিন্ন বাজে মন্তব্য শুরু করেন। আমার ছোট বোনের গায়ে ছিল একটি ছোট কালো বোরকা এবং একটি ছোট কালো হিজাব আর আমার পরনে ছিল বোরকা, হাত পায়ের মোজা ও হিজাব। 

আমাদের দেখিয়ে রাগান্বিত স্বরে অধ্যক্ষ বলেন, ছোট বাচ্চাদের কি এগুলো কোনো ধরনের পোশাক পরায়। এ ধরনের পোশাক পরিয়ে বাচ্চাদের ভুলভাল জিনিস শেখায়। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে একজন প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেছিলেন, বাচ্চাদের হয়তো পরিবার থেকে ছোটবেলা থেকেই তারা পর্দা-নৈতিকতা শেখায়, কিন্তু প্রতিউত্তরে ম্যাডাম বলে ওঠেন— এগুলো কোন ধরনের নৈতিকতা? এসব বোরকা-হিজাবের ভেতরে দুষ্টামি-ভণ্ডামি আরও বেশি লুকিয়ে থাকে। 

অধ্যক্ষ ম্যাডাম আরও বলেন, হুজুরগিরি করলে বাড়িতে করতে হবে, কলেজে নয়।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, এসব কথায় আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি।  আমার মানসিক অবস্থা দেখার মতো ছিল না এবং লজ্জাবোধ করি। 

এ বিষয়ে জানতে কলেজ অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে যুগান্তরকে জানান, আমি এখন অসুস্থ, ঢাকায় একটি হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে এসেছি, একদিন পর কলেজে এসে কথা বলিয়েন।  

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার ভাওয়াল জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে নজরে এসেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীর হিজাব পরিধান কটূক্তির বিষয়টি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বোরকার ভেতরে দুষ্টামি-ভণ্ডামি বেশি লুকিয়ে থাকে’ শিক্ষার্থীকে অধ্যক্ষ

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 ভিউ নিউজ ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

লাকসামে নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর হিজাব নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোববার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।  

মানববন্ধনে কলেজের অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে হিজাব নিয়ে কটূক্তি, বোরকা ধরে টানাটানি, হিজাব পরা ছাত্রীদের অপমান করাসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থী সূত্র জানায়, গত ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনার ও মেলা উপভোগ করতে আসেন ওই কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আঞ্জুমান আক্তার আঁখি ও তার ছোট বোন। ওই দিন কলেজে দুই বোন হিজাব-বোরকা পরিধান করে একসঙ্গে নারী শিক্ষার্থীদের কমনরুমে যাওয়ার সময় কলেজ অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজ তাদের বোরকা-হিজাব পরিধান নিয়ে নানা ধরনের কটূক্তি করেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার সামনে ছাত্রীদের বোরকা-হিজাব পরে আসায় অপমান করেন এবং বোরকা পরে আসতে নিষেধ করেন। 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আঞ্জুমা আক্তার আঁখি জানান, আমাকে ও আমার ছোট বোনকে বোরকা পরিহিত অবস্থায় দেখামাত্রই অধ্যক্ষ ম্যাডাম বিভিন্ন বাজে মন্তব্য শুরু করেন। আমার ছোট বোনের গায়ে ছিল একটি ছোট কালো বোরকা এবং একটি ছোট কালো হিজাব আর আমার পরনে ছিল বোরকা, হাত পায়ের মোজা ও হিজাব। 

আমাদের দেখিয়ে রাগান্বিত স্বরে অধ্যক্ষ বলেন, ছোট বাচ্চাদের কি এগুলো কোনো ধরনের পোশাক পরায়। এ ধরনের পোশাক পরিয়ে বাচ্চাদের ভুলভাল জিনিস শেখায়। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন শিক্ষকের মধ্যে একজন প্রতিবাদ করেন। তিনি বলেছিলেন, বাচ্চাদের হয়তো পরিবার থেকে ছোটবেলা থেকেই তারা পর্দা-নৈতিকতা শেখায়, কিন্তু প্রতিউত্তরে ম্যাডাম বলে ওঠেন— এগুলো কোন ধরনের নৈতিকতা? এসব বোরকা-হিজাবের ভেতরে দুষ্টামি-ভণ্ডামি আরও বেশি লুকিয়ে থাকে। 

অধ্যক্ষ ম্যাডাম আরও বলেন, হুজুরগিরি করলে বাড়িতে করতে হবে, কলেজে নয়।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, এসব কথায় আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি।  আমার মানসিক অবস্থা দেখার মতো ছিল না এবং লজ্জাবোধ করি। 

এ বিষয়ে জানতে কলেজ অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজের কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে যুগান্তরকে জানান, আমি এখন অসুস্থ, ঢাকায় একটি হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে এসেছি, একদিন পর কলেজে এসে কথা বলিয়েন।  

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার ভাওয়াল জানান, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে নজরে এসেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হাই সিদ্দিকী বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীর হিজাব পরিধান কটূক্তির বিষয়টি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।