ঢাকা ১১:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

হিরণ মাহমুদ ৩ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১২:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ : অনলাইন ডেস্ক :

ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।আদালত সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ১০ জন। এর মধ্যে ৯ জনই কারাগারে রয়েছেন। শুধু সবুজ নামের এক আসামি পলাতক রয়েছেন।

গত বছরের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচর টিবিগেট এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে উপুর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নিহত আরিফ টিলাগড় এলাকার স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুর নেতৃত্বে আরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আরিফ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন।ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২২ নভেম্বর নিহত আরিফ আহমদের মা আখি বেগম বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন। এতে হিরণ মাহমুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামী হিরণ মাহমুদ পলাতক ছিলেন। তবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেট মহানগর দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করছিলেন তিনি। বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিনই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মধুসূদন রায় হিরণ মাহমুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরবর্তী শুনানির দিনে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষ হয়েছে।এসএমপির মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছে অনেক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি বা জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিশেষ তথ্য না দিলেও পুলিশের তদন্তকাজ এগিয়ে নিতে কোনো বেগ পেতে হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হিরণ মাহমুদ ৩ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে

আপডেট সময় : ১০:১২:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভিউ নিউজ ৭১ : অনলাইন ডেস্ক :

ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তার তিনদিনের রিমান্ড শেষ হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।আদালত সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ১০ জন। এর মধ্যে ৯ জনই কারাগারে রয়েছেন। শুধু সবুজ নামের এক আসামি পলাতক রয়েছেন।

গত বছরের ২০ নভেম্বর রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরীর বালুচর টিবিগেট এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে উপুর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাঁকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।নিহত আরিফ টিলাগড় এলাকার স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুর নেতৃত্বে আরিফকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। আরিফ জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন।ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২২ নভেম্বর নিহত আরিফ আহমদের মা আখি বেগম বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন। এতে হিরণ মাহমুদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করা হয়।

ঘটনার পর থেকেই মামলার প্রধান আসামী হিরণ মাহমুদ পলাতক ছিলেন। তবে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিলেট মহানগর দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করছিলেন তিনি। বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিনই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মধুসূদন রায় হিরণ মাহমুদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরবর্তী শুনানির দিনে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষ হয়েছে।এসএমপির মিডিয়া অফিসার ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছে অনেক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি বা জিজ্ঞাসাবাদের সময় বিশেষ তথ্য না দিলেও পুলিশের তদন্তকাজ এগিয়ে নিতে কোনো বেগ পেতে হবে না।