ঢাকা ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ড. ইউনূস – নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শাহজালালে কতক্ষণ ছিলেন আব্দুল হামিদ হবিগঞ্জে সেনাঅভিযানে আ.লীগ নে তা গ্রেফ তার করোনা বাড়ছে, মাস্ক পরার অনুরোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ড.ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চান টিউলিপ দীর্ঘদিন কুরবানির মাংস সংরক্ষণের সহজ উপায় কুরবানির ঈদ: ঝক্কি ছাড়াই ভুঁড়ি পরিষ্কারের দারুণ কৌশল কুরবানিতে মাংস খাওয়ার পর হজমে যে শরবত খাবেন ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

ভোটে আসা সব দলকে সরকার টাকা দিয়েছে- হিরো আলম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪ ৮১ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

ভোটে আসা সব রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরকার টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী (ডাব প্রতীক) আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।  রাজধানীর রামপুরায় নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে হিরো আলম দাবি করেন, সরকার যে টাকা দিয়েছে, সেই প্রমাণ চাইলে অনেক রেকর্ড আছে। প্রমাণ দিব। অনেক প্রমাণ আমার হাতে আছে।

তার দাবি, সরকার প্রত্যেক প্রার্থীকে এক কোটি, দুই কোটি করে টাকা দিতে চেয়েছিল। এ কারণে ভোটের মাঠে এত এত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। টাকা না পেয়ে অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। টাকা না পেয়ে জাতীয় পার্টির অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এতগুলো লোককে নির্বাচনী মাঠে ধরে রাখার জন্য সরকার টাকা ঢেলেছে।

বুধবার হিরো আলম আবারও বলেন, আমার দল কংগ্রেসকে প্রথমে এক কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। দলের চেয়ারম্যানসহ জোটের ছয়জন মিলে সেই টাকা খেয়ে ফেলেছেন। এটা নিয়ে দলে গন্ডগোলও লেগেছে। আমাকে দল থেকে ডেকে বলা হলো, নির্বাচনের মাঠে থাকার জন্য সরকার থেকে কিছু ফান্ড দিয়েছে। জানতে চাইলাম কী কারণে ফান্ড দিয়েছে? মাঠে থাকার জন্য। জানতে চাইলাম কত টাকা? বলা হলো, পোস্টারের জন্য ৩০ হাজার করে এবং জামানতের জন্য কিছু। সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে। আমি বলেছিলাম, আমার টাকা লাগবে না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীকে ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়েছেন। 

এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া বাকি চারজনই জামানত হারিয়েছেন। হিরো আলম মাত্র ২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন।হিরো আলম ছাড়াও জিয়াউল হক মোল্লা এ আসনে ফলাফল বাতিল চেয়ে ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলায় কিছু কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট পড়ার কথা উল্লেখ করে পুনরায় ভোট গণনা চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভোটে আসা সব দলকে সরকার টাকা দিয়েছে- হিরো আলম

আপডেট সময় : ০২:৩০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক : অনলাইন সংস্করণ

ভোটে আসা সব রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরকার টাকা দিয়েছে বলে দাবি করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী (ডাব প্রতীক) আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।  রাজধানীর রামপুরায় নিজ কার্যালয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে হিরো আলম দাবি করেন, সরকার যে টাকা দিয়েছে, সেই প্রমাণ চাইলে অনেক রেকর্ড আছে। প্রমাণ দিব। অনেক প্রমাণ আমার হাতে আছে।

তার দাবি, সরকার প্রত্যেক প্রার্থীকে এক কোটি, দুই কোটি করে টাকা দিতে চেয়েছিল। এ কারণে ভোটের মাঠে এত এত স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। টাকা না পেয়ে অনেক প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। টাকা না পেয়ে জাতীয় পার্টির অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এতগুলো লোককে নির্বাচনী মাঠে ধরে রাখার জন্য সরকার টাকা ঢেলেছে।

বুধবার হিরো আলম আবারও বলেন, আমার দল কংগ্রেসকে প্রথমে এক কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। দলের চেয়ারম্যানসহ জোটের ছয়জন মিলে সেই টাকা খেয়ে ফেলেছেন। এটা নিয়ে দলে গন্ডগোলও লেগেছে। আমাকে দল থেকে ডেকে বলা হলো, নির্বাচনের মাঠে থাকার জন্য সরকার থেকে কিছু ফান্ড দিয়েছে। জানতে চাইলাম কী কারণে ফান্ড দিয়েছে? মাঠে থাকার জন্য। জানতে চাইলাম কত টাকা? বলা হলো, পোস্টারের জন্য ৩০ হাজার করে এবং জামানতের জন্য কিছু। সব মিলিয়ে ৬৫ হাজার করে টাকা দিয়েছে। আমি বলেছিলাম, আমার টাকা লাগবে না।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে ১৪ দলের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন নৌকা প্রতীকে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লা ঈগল প্রতীকে ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট পেয়েছেন। 

এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বিজয়ী ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া বাকি চারজনই জামানত হারিয়েছেন। হিরো আলম মাত্র ২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়েছেন।হিরো আলম ছাড়াও জিয়াউল হক মোল্লা এ আসনে ফলাফল বাতিল চেয়ে ভোট পুনর্গণনার আবেদন করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। তিনি নন্দীগ্রাম উপজেলায় কিছু কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট পড়ার কথা উল্লেখ করে পুনরায় ভোট গণনা চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেন।