ঢাকা ১১:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি’র জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত জেলরোড থেকে আক্তার হোসেন গ্রেফতার মাহে রামাদ্বান উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মধ্যে ফুড প্যাক বিতরণ এনসিপি’র শ্রমিক উইং এর কেন্দ্রীয় সংগঠক হলেন সিলেটের শিব্বির আহমদ পথশিশুদের নিয়ে ইউনিস্যাবের ঈদ উৎসব-২০২৫ উদ্যাপন তিন খানকে নিয়ে আসছে সিনেমা আমার বয়স নিয়ে নায়িকার সমস্যা না হলে আপনার কেন সমস্যা: সালমান সকালে খালি পেটে পানি পান করলে কী হয় শরীরে? মানসিক অবসাদ কাটাতে রাতে যা করবেন গাজীপুরে আইজিপি

রোহিঙ্গা নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ : অনলাইন সংস্করণ

কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা (ক্যাম্পের হেড) মাঝিসহ দুই রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।বৃহস্পতিবার ভোরে উখিয়ার মধুরছড়া ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথকভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।

নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৭ ব্লক-সি/৭৮-এর মৃত মোহাম্মদ আমিনের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (২৩) ও ক্যাম্প-৪-এর হেড মাঝি সৈয়দ আহমেদের ছেলে নাদির হোসেন (৩৯)।স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন,উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-১৭এর বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহকে তার বসতঘর থেকে ৫-৬ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল অস্ত্রের মুখে বের করে সি/৭৮ ব্লকে রাস্তার পাশে বাজারের কাছাকাছি নিয়ে যায়।সন্ত্রাসীরা একপর্যায়ে আবদুল্লাহকে রাস্তায় ফেলে বুকে উপর্যুপরি গুলি করে। 

খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে।পুলিশ গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহকে ক্যাম্পের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।অন্যদিকে মধুরছড়ার বসতঘর থেকে ক্যাম্প-৪-এর হেড মাঝি নাদির হোসেনকে ডেকে নিয়ে যায়।পরে তাকে ডান কানের নিচে ও পেটের ডান পাশে গুলি ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।ওসি বলেন,হত্যার ঘটনাগুলো আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে হয়ে থাকতে পারে।ঘটনার পর পরই ওই এলাকায় এপিবিএন পুলিশের পাহারা বাড়ানো হয়েছে।ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোহিঙ্গাভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রোহিঙ্গা নেতাসহ দুজনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা

আপডেট সময় : ১০:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ : অনলাইন সংস্করণ

কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা (ক্যাম্পের হেড) মাঝিসহ দুই রোহিঙ্গাকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।বৃহস্পতিবার ভোরে উখিয়ার মধুরছড়া ও বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথকভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন।

নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৭ ব্লক-সি/৭৮-এর মৃত মোহাম্মদ আমিনের ছেলে মো. আবদুল্লাহ (২৩) ও ক্যাম্প-৪-এর হেড মাঝি সৈয়দ আহমেদের ছেলে নাদির হোসেন (৩৯)।স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন,উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প-১৭এর বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহকে তার বসতঘর থেকে ৫-৬ জনের একটি দুর্বৃত্ত দল অস্ত্রের মুখে বের করে সি/৭৮ ব্লকে রাস্তার পাশে বাজারের কাছাকাছি নিয়ে যায়।সন্ত্রাসীরা একপর্যায়ে আবদুল্লাহকে রাস্তায় ফেলে বুকে উপর্যুপরি গুলি করে। 

খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে।পুলিশ গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ আবদুল্লাহকে ক্যাম্পের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।অন্যদিকে মধুরছড়ার বসতঘর থেকে ক্যাম্প-৪-এর হেড মাঝি নাদির হোসেনকে ডেকে নিয়ে যায়।পরে তাকে ডান কানের নিচে ও পেটের ডান পাশে গুলি ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

উখিয়া থানার ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।ওসি বলেন,হত্যার ঘটনাগুলো আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে হয়ে থাকতে পারে।ঘটনার পর পরই ওই এলাকায় এপিবিএন পুলিশের পাহারা বাড়ানো হয়েছে।ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রোহিঙ্গাভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করছে।