পিটার হাস বিএনপির চর-বিচারপতি মানিক

- আপডেট সময় : ০২:২৪:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ৮২ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ :অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপির চর হিসেবে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।রোববার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে‘২১আগস্টের ভুক্তভোগী পরিবার,জিয়ার শাসনকালে রাষ্ট্রীয় গুমের শিকার এবং বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের শিকার ব্যক্তি ও পরিবারবর্গ’ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে নিহত সার্জেন্ট হাশেম মজুমদারের সন্তান মামুনুর রশীদ মামুন, আকবর আলী খানের সন্তান মুনীম, চাকরিচ্যুত সার্জেন্ট আব্দুল গণি, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবি সিদ্দিকের সন্তান মাসুমা বেগম বক্তব্য রাখেন।মানববন্ধনে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার ও সাম্প্রতিক অগ্নিসন্ত্রাসের’ সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ১৯৭৭ সালে জাপানি বিমান হাইজ্যাকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিয়াউর রহমান ১৫শ মুক্তিযোদ্ধা সেনাবাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছেন। তাদের কোনো বিচার করা হয়নি। নিয়মমতো পরিবারের কাছে তাদের লাশও হস্তান্তর করা হয়নি। তাদের হত্যা করে জিয়াউর রহমান মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করেছিলেন। জাতীয় চার নেতাকে অসহায় অবস্থায় জেলখানায় হত্যা করেছেন। তার পথ ধরেই খালেদা জিয়া শাসন করেছেন।তখন কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলেননি।
তিনি বলেন,বাংলাদেশে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপির চর হিসেবে কাজ করছেন। তিনি কখনো ১৯৭৭ সালে নিহত ১৫শ ব্যক্তির স্বজনদের কথা শোনেননি।মানববন্ধনে সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়াউর রহমানের কবর সরানো,তার মরণোত্তর বিচার এবং জিয়ার আমলে হওয়া সব হত্যা যাচাইয়ে কমিশন গঠন করার দাবি জানান সাবেক এই বিচারপতি।মানববন্ধনে ‘মায়ের কান্না’সংগঠনের আহ্বায়ক মো. কামরুজ্জামান লেলিন বলেন,যারা গাড়ি পুড়িয়ে গ্রেফতার হয়, তাদের ব্যাপারে মানবতা লঙ্ঘিত হয়।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে, তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? জিয়ার উদ্দেশ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর অনুসারী মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।আওয়ামী লীগের এক হাজার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।তখন দেশের সুশীল সমাজ ও সংগঠনগুলো মানবাধিকারের কথা বলেনি।