শহিদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে সন্তানদের বইয়ের সাথে সম্পৃক্ততা প্রয়োজন-বিভাগীয় কমিশনার

- আপডেট সময় : ০২:২৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:
সন্তানদের জ্ঞানী,সম্মানিত ও সমাজের প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে, দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হলে জানাতে হবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। আর তার জন্য প্রয়োজন বইয়ের সাথে সম্পৃক্ততা।সিলেটে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার জেলা পরিষদ ও ইনোভেটরের আয়োজনে বই পড়া উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি একথা বলেন।
পাকিস্তানি উপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে এ বাংলার আপামর জনগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহিদ এবং ২ লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ পেয়েছি স্মরণ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাঙালি জাতি হাজার বছর ধরে নির্যাতিত,নিষ্পেষিত এবং নিপীড়িত ছিল। কখনো নিজেরা নিজেদের শাসন করতে পারেনি। সব সময় শোষিত ও শাসিত ছিল।সর্বশেষ পাকিস্তানি শাসকরা বাঙালির ভাগ্যনিয়ন্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা বুঝতে পারলাম পূর্বে যে উপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ছিল তারচেয়েও তারা জঘন্য, নির্মম আরো নিষ্ঠুর।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ,বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা চক্রবর্তী ও ইনোভেটরের প্রধান উদ্যোক্তা রেজওয়ান আহমদ। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইনোভেটরের নির্বাহী সঞ্চালক প্রণবকান্তি দেব।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী,এনডিসি বলেন, পবিত্র কোরআনের প্রথম শব্দ পড় থেকেই বোঝা যায়- বই কত মূল্যবান,বই একজন ছাত্রকে এবং ভবিষ্যতের মানুষকে কীভাবে রূপান্তরিত করতে পারে, কীভাবে গড়ে তুলতে পারে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মায়েদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,অনেক টাকা রেখে গেলে আপনার সন্তান সুখ-শান্তিতে থাকতে পারবে না, তাকে জ্ঞান আহরণের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।নতুবা আপনি যে টাকা রেখে যাবেন সেটাও সে রক্ষা করতে পারবে না।তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশ।পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতি,২০৪১ সালে পৃথিবীর ১১তম অর্থনীতিতে উন্নীত হবে।এটা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বইয়ের সাথে সম্পৃক্ততা। মা-বাবাকে বাঙালি জাতি,বাংলা,উপমহাদেশ ও পৃথিবীর ইতিহাস শিখাতে হবে,যাতে তারা নিজেরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে।যখন পৃথিবীতে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তখন এ ভারতবর্ষের নালন্দা ইউনিভার্সিটি ছিল। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসেছে অনেক পরে।নতুন প্রজন্মদের শিখাতে হবে আমাদের গৌরব কথা,পূর্বপ্রজন্মের ইতিহাস।
প্রধান অতিথি আরো বলেন,আমাদের যে বৌদ্ধ বিহার ছিল, সেগুলো ছিল এক একটা বিশ্ববিদ্যালয়।আজকে আমরা শুধু ইউরোপের কথা বলি,তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলি কিন্তু আমাদের পূর্বের ইতিহাস জানি না।একজন মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে, যার যা অবদান সেটাকে স্বীকার করতে হবে।মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা, সবচেয়ে বড় গৌরবের ইতিহাস। এজন্য বই পড়ার মাধ্যমে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে।