ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে আগামী নির্বাচন ইসলাম ও ইসলামী আ ন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরুপ: ডা.শফিকুর মেসির শেষ বিশ্বকাপ জার্সিতে ছোঁয়া আছে ম্যারাডোনারও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৮৪ অবৈধ অভিবাসী আটক মবের ভয়ে থাকা সাংবাদিকরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’: প্রেস সচিব চট্টগ্রামে নির্বাচনি গণসংযোগে হামলা, বিএনপি প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হবিগঞ্জ শায়েস্তাগঞ্জে মাদক বিরোধী মোবাইল কোর্ট, গ্রেফতার ৬ সিলেট জৈন্তাপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার চোরাইপন্য সহ মাইক্রোবাস আটক বিএনপিতে যোগ দিলেন রেজা কিবরিয়া

ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধ করুন:বিশ্বনেতাদের প্রধানমন্ত্রী 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন: অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,এই যুদ্ধ (হামাস ইসরাইল সংঘাত) বন্ধ করুন। অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন।যুদ্ধ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।এই যুদ্ধের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। আমরা সেটা জানি।যুদ্ধের ফলে শিশু হারায় বাবা-মা,বাবা-মা হারায় সন্তানদের।বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল ও স্মার্ট বাংলাদেশ পদক প্রদান এবং শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্বে একের পর এক যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।এখন আবার প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে ইসরাইল।দুপক্ষেরই শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল দেখলাম হাসপাতালে আক্রমণ হয়েছে। সেখানেও শিশু মারা গেছে।তিনি বলেন,অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নের ব্যয় হোক, আমরা চাই। যুদ্ধ চাই না, কারণ যুদ্ধ ধ্বংস করে। আমরা শান্তি চাই।শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছোট্ট রাসেলের মতো আর যেন কাউকে জীবন না দিতে হয়, এটাই আমি চাই। এসময় কবি সুকান্তের কবিতাও আবৃত্তি করেন প্রধানমন্ত্রী।

৭১ সালের বন্দিজীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকারপ্রধান বলেন,১৯৭১ সালে আমরা যখন বন্দি ছিলাম, একবার চেষ্টা করেছে ভেতরে এসে আমাদের ওপর হামলা করতে। একটা ছোট্ট তার আমাদের বাঁচিয়ে দেয়।একটা কাপড় ঝোলানো তারের সঙ্গে লেগে সে অফিসার পড়ে যায়,পরে সে ফিরে যায়।পরে কর্নেল অশোক আসে।সেদিনটি ছিল ১৮ তারিখ।শিশুদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আজ তোমরা যারা শিশু এখানে আছো,বাবা-মার কথা শুনবে।ঠিকমতো লেখাপড়া করবে।লেখাপড়া ছাড়া মানুষ বড় হতে পারে না। আমাদের ছেলেদেয়েদের মধ্যে এই আকাঙ্ক্ষা থাকবে, আমরা লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবো।বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের সভাপতিত্বে ও ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব সামসুল আরেফিন,শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ শরাফাত,সাংগঠনিক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ।অনুষ্ঠানে ‘স্মরণের আবরণে শেখ রাসেল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে রাসেলের স্মৃতি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল (অব.) অশোক কুমার তারা’র ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

জাতির পিতার কনিষ্ঠ সন্তান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র ছিলেন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল।বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাকেও নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফিলিস্তিন-ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধ করুন:বিশ্বনেতাদের প্রধানমন্ত্রী 

আপডেট সময় : ১২:০৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন: অনলাইন সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,এই যুদ্ধ (হামাস ইসরাইল সংঘাত) বন্ধ করুন। অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন।যুদ্ধ মানুষের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।এই যুদ্ধের ফলে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী ও শিশু। আমরা সেটা জানি।যুদ্ধের ফলে শিশু হারায় বাবা-মা,বাবা-মা হারায় সন্তানদের।বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শেখ রাসেল ও স্মার্ট বাংলাদেশ পদক প্রদান এবং শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিশ্বে একের পর এক যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ।এখন আবার প্যালেস্টাইনের ওপর আক্রমণ করছে ইসরাইল।দুপক্ষেরই শিশু নিহত হয়েছে। গতকাল দেখলাম হাসপাতালে আক্রমণ হয়েছে। সেখানেও শিশু মারা গেছে।তিনি বলেন,অস্ত্র বানানোর টাকা বিশ্বের উন্নয়নের ব্যয় হোক, আমরা চাই। যুদ্ধ চাই না, কারণ যুদ্ধ ধ্বংস করে। আমরা শান্তি চাই।শেখ হাসিনা বলেন, আমার ছোট্ট রাসেলের মতো আর যেন কাউকে জীবন না দিতে হয়, এটাই আমি চাই। এসময় কবি সুকান্তের কবিতাও আবৃত্তি করেন প্রধানমন্ত্রী।

৭১ সালের বন্দিজীবনের স্মৃতিচারণ করে সরকারপ্রধান বলেন,১৯৭১ সালে আমরা যখন বন্দি ছিলাম, একবার চেষ্টা করেছে ভেতরে এসে আমাদের ওপর হামলা করতে। একটা ছোট্ট তার আমাদের বাঁচিয়ে দেয়।একটা কাপড় ঝোলানো তারের সঙ্গে লেগে সে অফিসার পড়ে যায়,পরে সে ফিরে যায়।পরে কর্নেল অশোক আসে।সেদিনটি ছিল ১৮ তারিখ।শিশুদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, আজ তোমরা যারা শিশু এখানে আছো,বাবা-মার কথা শুনবে।ঠিকমতো লেখাপড়া করবে।লেখাপড়া ছাড়া মানুষ বড় হতে পারে না। আমাদের ছেলেদেয়েদের মধ্যে এই আকাঙ্ক্ষা থাকবে, আমরা লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবো।বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের সভাপতিত্বে ও ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সচিব সামসুল আরেফিন,শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ শরাফাত,সাংগঠনিক সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন প্রমুখ।অনুষ্ঠানে ‘স্মরণের আবরণে শেখ রাসেল’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও অনুষ্ঠানে রাসেলের স্মৃতি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল (অব.) অশোক কুমার তারা’র ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।

জাতির পিতার কনিষ্ঠ সন্তান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ধানমন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন। শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্র ছিলেন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল।বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাকেও নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করা হয়।