বাংলাদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কোনো শঙ্কা নেই- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

- আপডেট সময় : ০৪:০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩ ৭১ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন :অনলাইন সংস্করণ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন,পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তো দূরের কথা, কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার শঙ্কা নেই।মূলত মানুষের মধ্যে ভয় তৈরি করতে এটা প্রচার করা হয়েছে। সেই ভয়ভীতি কাজে লাগিয়ে একটা গোষ্ঠী ফায়দা লুটতে পারে।সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা ও বিদেশি বাণিজ্যবিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি ডিয়ানা জেনসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসছে, একজন সাংবাদিকও এ বিষয়ে লিখেছেন, এ সম্পর্কে জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন,নট অ্যাট অল। তারা কোথায় এসব তথ্য পেয়েছেন, আমি জানি না। আমি খুব দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারি, এই দপ্তরে ১০ বছর কাজ করে যদি কিছু বুঝে থাকি, এ ধরনের কোনো শঙ্কা নেই।
তিনি অনুরোধ করে বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) আপনাদের মেধা দিয়ে তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে, সেই সঙ্গে বিদেশি, তা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন হতে পারে, সেসব রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে কাজগুলো করবেন। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, সামনে জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তো অনেক দূরের কথা, আর কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার শঙ্কা কিংবা বাস্তবতা বা কোনো প্রেক্ষাপট নেই।এদিকে সুইডেনের মন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। আর এ বিষয়ে দায়দায়িত্ব সরকারের।
নির্বাচন প্রসঙ্গে শাহরিয়ার আলম বলেন, সুইডেনের মন্ত্রীর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে নতুন আইন হয়েছে, সেটা তাকে বলেছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায় তার জন্য কী প্রচেষ্টা আমরা নিচ্ছি, সেটা বলেছি। ২০০৮ সালে এবং এর আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কেমন ছিল সেটা বলেছি।বাংলাদেশ সফররত মার্কিন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠকে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে। যে কেউ বানচালের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য, ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যু, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবসহ বাংলাদেশ ও সুইডেনের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন উভয়পক্ষ।ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে আলোচনা বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক নিয়ে তিনি জানতে চেয়েছেন। আমরা আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কথা বলেছি। আমরা ব্যাখ্যা করেছি, পররাষ্ট্রনীতির ওপর নির্ভর করে আমরা ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক করেছি। যেখানে আমরা রুল বেইসড অর্ডারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। তারা স্বাগত জানিয়েছে। তাদের অবস্থাও প্রায় একই।রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন। তিনি দেশে ফিরে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি মানবিক সহায়তার অর্থায়নে কীভাবে সহায়তা করতে পারে, সেটা তুলে ধরবেন।