ঢাকা ০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ ফেরানোর আহ্বান ৩ প্রভাবশালী দেশের তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন মির্জা ফখরুল বিদেশে বসে আ.লীগের আন্দোলনের ডাক, যা বললেন জান্নাতুন নাঈম বিমসটেক সম্মেলন ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি,লাগাতার কর্মসূচি এনসিপির মাধবপুরে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় কিসমিস আটক বাহুবলের মিরপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ৫ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ভারতকে হারাতে চায় হামজায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আজমিরীগঞ্জে এবার শুরু নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব

আ.লীগ অনেক স্ত্রীকে স্বামীহারা,পুত্রহারা,সন্তানকে পিতাহারা করেছেন,অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন-মির্জা ফখরুল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩ ৬২ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:অনলাইন সংস্করণ

আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন করে-এটা শুনলে ঘোড়াও হাসে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রশ্ন তুলেছেন-নির্বাচন নিয়ে এত কথা কেন?’ মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আ.লীগ) নাকি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে। তাদের এ কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে।শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে ‘চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ও শিক্ষক-কর্মচারীর হয়রানি-নির্যাতনের প্রতিবাদে’ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নেতা অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন-নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর এত মাথাব্যথা কেন? কারণ, ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে-‘যেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে সেখানে তারা কাজ করতে চায়, সহযোগী হতে চায়।’ প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সঙ্গে বলেছেন-বিদেশিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলেনি। ফখরুল বলেন, বলতে হয় না, এগুলো বোঝা যায়। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তা প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা দুর্নীতি, অন্যায় করেছে, বিচারক হয়ে দলীয়ভাবে বিচার করছে, ব্যবসায়ী যারা চুরি করেছে, তারা এখন আতঙ্কিত। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন মনে হয় উন্মাদ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে আপনার সময় হয়ে গেছে। দয়া করে কেটে পড়েন। তা না হলে জনগণ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে মির্জা ফখরুল বলেন,অনেক কষ্ট দিয়েছেন মানুষকে।অনেক স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছেন,অনেক মাকে পুত্রহারা করেছেন,অনেক সন্তানকে পিতাহারা করেছেন,অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন। এখনো সময় আছে দয়া করে বিদায় হোন।আপনারা যে অপকর্ম করেছেন, তার জবাবদিহি এক সময় করতে হবে। তাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন। স্পষ্ট করে বলেছি-নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। সংসদ এখন তোষামোদ করার কারখানায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের জবাবদিহিতা নেই। প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা করবেন আর সংসদ সদস্যরা বলেন-আহা বেশ বেশ।

বর্তমানে দুঃশাসনের মধ্যে পড়েছি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন যারা আমাদের বুকের ওপরে চেপে বসে আমাদের ওপরে ছড়ি ঘোরাচ্ছে, মারছে, খুন করছে, লুণ্ঠন করছে-এটাকে সরানোর দায়িত্ব কার? শুধু স্যাংশনের ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে, ভিসানীতির ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে? অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে? আমাদেরই করতে হবে। তিনি বলেন, এটা করতে এখন ভালো কথা শুনছে না, শান্তির কথা শুনছে না। আমরা বারবার বলছি-আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আমরা পদযাত্রা করছি, রোডমার্চ করছি, সমাবেশ করছি। কিন্তু চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনি। শোনে না। এখন শোনাতে হবে এবং শোনানোর জন্য যা কিছু করা দরকার-তাই করতে হবে। সেজন্য আজকে সমগ্র জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে-এ ভয়াবহ দানবীয় সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য। এ সরকারকে সরাতে সব মানুষকে রাজপথে সোচ্চার হতে হবে। আমরা বিজয়ী হব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান অভিযোগ করেন, সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে। লগি-বৈঠার শিক্ষা বিএনপির রাজনীতিতে নেই। শিক্ষকদের এখানে দাবি জানাতে হচ্ছে, এ ব্যর্থতা রাষ্ট্রের। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই প্রধানমন্ত্রীর মাথাব্যথা করে। পশ্চিমা বিশ্বে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একই সঙ্গে চলেছে। তারা উন্নয়নের নাম দিয়ে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নষ্ট করেনি।শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন-সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম,শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, কারিগরি শিক্ষক সমিতির মহাসচিব হারুনুর রশীদ,শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মুগিস উদ্দিন মাহমুদ,শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ছফা চৌধুরীসহ শিক্ষক,মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আ.লীগ অনেক স্ত্রীকে স্বামীহারা,পুত্রহারা,সন্তানকে পিতাহারা করেছেন,অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন-মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৪:২১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন:অনলাইন সংস্করণ

আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন করে-এটা শুনলে ঘোড়াও হাসে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রশ্ন তুলেছেন-নির্বাচন নিয়ে এত কথা কেন?’ মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আ.লীগ) নাকি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করে। তাদের এ কথা শুনলে ঘোড়াও হাসে।শনিবার রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শিক্ষক-কর্মচারী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষ্যে ‘চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ও শিক্ষক-কর্মচারীর হয়রানি-নির্যাতনের প্রতিবাদে’ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে সারা দেশ থেকে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী নেতা অংশ নেন।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেন-নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর এত মাথাব্যথা কেন? কারণ, ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে-‘যেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে সেখানে তারা কাজ করতে চায়, সহযোগী হতে চায়।’ প্রধানমন্ত্রী আনন্দের সঙ্গে বলেছেন-বিদেশিরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিছু বলেনি। ফখরুল বলেন, বলতে হয় না, এগুলো বোঝা যায়। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তা প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা দুর্নীতি, অন্যায় করেছে, বিচারক হয়ে দলীয়ভাবে বিচার করছে, ব্যবসায়ী যারা চুরি করেছে, তারা এখন আতঙ্কিত। সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের ছাপ প্রধানমন্ত্রীর মুখে। এমনভাবে কথাবার্তা বলছেন মনে হয় উন্মাদ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলতে চাই, রাজনৈতিকভাবে আপনার সময় হয়ে গেছে। দয়া করে কেটে পড়েন। তা না হলে জনগণ আপনাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামাবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে মির্জা ফখরুল বলেন,অনেক কষ্ট দিয়েছেন মানুষকে।অনেক স্ত্রীকে স্বামীহারা করেছেন,অনেক মাকে পুত্রহারা করেছেন,অনেক সন্তানকে পিতাহারা করেছেন,অনেক রক্ত ঝরিয়েছেন। এখনো সময় আছে দয়া করে বিদায় হোন।আপনারা যে অপকর্ম করেছেন, তার জবাবদিহি এক সময় করতে হবে। তাই অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন। স্পষ্ট করে বলেছি-নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। সংসদ এখন তোষামোদ করার কারখানায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের জবাবদিহিতা নেই। প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতা করবেন আর সংসদ সদস্যরা বলেন-আহা বেশ বেশ।

বর্তমানে দুঃশাসনের মধ্যে পড়েছি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন যারা আমাদের বুকের ওপরে চেপে বসে আমাদের ওপরে ছড়ি ঘোরাচ্ছে, মারছে, খুন করছে, লুণ্ঠন করছে-এটাকে সরানোর দায়িত্ব কার? শুধু স্যাংশনের ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে, ভিসানীতির ওপর নির্ভর করে থাকলে হবে? অন্য কেউ করে দিয়ে যাবে? আমাদেরই করতে হবে। তিনি বলেন, এটা করতে এখন ভালো কথা শুনছে না, শান্তির কথা শুনছে না। আমরা বারবার বলছি-আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। আমরা পদযাত্রা করছি, রোডমার্চ করছি, সমাবেশ করছি। কিন্তু চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনি। শোনে না। এখন শোনাতে হবে এবং শোনানোর জন্য যা কিছু করা দরকার-তাই করতে হবে। সেজন্য আজকে সমগ্র জাতিকে এগিয়ে আসতে হবে-এ ভয়াবহ দানবীয় সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য। এ সরকারকে সরাতে সব মানুষকে রাজপথে সোচ্চার হতে হবে। আমরা বিজয়ী হব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান অভিযোগ করেন, সরকার বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে। লগি-বৈঠার শিক্ষা বিএনপির রাজনীতিতে নেই। শিক্ষকদের এখানে দাবি জানাতে হচ্ছে, এ ব্যর্থতা রাষ্ট্রের। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই প্রধানমন্ত্রীর মাথাব্যথা করে। পশ্চিমা বিশ্বে উন্নয়ন ও গণতন্ত্র একই সঙ্গে চলেছে। তারা উন্নয়নের নাম দিয়ে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা নষ্ট করেনি।শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন-সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম,শিক্ষক সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন, কারিগরি শিক্ষক সমিতির মহাসচিব হারুনুর রশীদ,শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মুগিস উদ্দিন মাহমুদ,শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ছফা চৌধুরীসহ শিক্ষক,মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন প্রমূখ।