হিরন মাহমুদ নিপু ও তার সন্ত্রসী বাহিনীর অন্যায় কাজের প্রতিবাদে সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময় : ১২:৫৪:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ জুন ২০২৩ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :
হিরন মাহমুদ নিপু ও তার সন্ত্রসী বাহিনীর অন্যায় কাজের প্রতিবাদে আমি মোছা: আম্বিয়া বেগম, স্বামী রুহেল আহমেদ চৌধুরী, সাং-বালুচর আল ইসলাহ, ওয়ার্ড নং ৩৬, থানা: শাহপরান (রহঃ), জেলা: সিলেট। এর পক্ষে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছি।
প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দঃ
হিরন মাহমুদ নিপুর সাথে আমার স্বামীর দীর্ঘদিন থেকে পৃর্বশত্রুতা রয়েছে। সে আমার স্বামীকে নিজে এবং তাহর সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে যা”েছ এবং মিথ্যা মামলায় প্রতিনিহত হয়রানি করে যা”েছ। তাহার ভয়ে বালুচর এলাকার কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। আমার স্বামী রুহেল চৌধুরী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানের নৌকা প্রতিকের সমর্থনকারী। হিরণ মাহমুদ নিপু কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় আমার স্বামী রুহেল চৌধুরীকে তাহার পক্ষে কাজ করার কথা বলে কিš‘ আমার স্বামী তার সাথে না যাওয়ায় হিরণ মাহমুদ নিপু ক্ষুদ্ধ হয়ে আমার স্বামীকে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।
সাংবাদিক বন্ধুগণঃ
১৬/০৬/২০২৩ ইং তারিখে আমার স্বামী বালুচর আল ইসলাহ নতুন বাজার এলাকায় রাত ৮.০০ ঘটিকার সময় গেলে এসময় ব্যডমিন্টন প্রতিকের কাউন্সিলর প্রার্থী হিরণ মাহমুদ নিপুর নির্বাচনি কার্যালয়ে তাহার বড় ভাই মদ্যপান করতে থাকলে আমার স্বামী তা দেখে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি নিপুর ভাই দেখে ফেলে এবং সাথে সাথে তিনি জোর পূর্বক আমার স্বামীর হাত থেকে তাহার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন (আইফোন প্রোমেক্স) যাহার মূল্য ৪২,০০০/- (বিয়াল্লিশ হাজার) টাকা মাত্র। মোবাইলে সংযুক্ত সিম নাম্বার ০১৭৬৭-৩৯৭৭৮৮ ছিনিয়ে নেয় এবং আমার স্বামীর সাথে থাকা মটর সাইকেল এর চাবি কেড়ে নেয় যাহার মূল্য ১,১৫,০০০/-(এক লক্ষ পনেরো হাজার) টাকা মাত্র। তা ছিনিয়ে নিয়েই কান্ত হয় নি, তাকে শারিরিক ভাবে ব্যাপক লাঞ্চিত করে।
জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাই ও বোনেরাঃ
আমার স্বামীর উপর হামলার সময় তিনি নিজে নিরাপত্তার জন্য তাৎক্ষনিক ৯৯৯ এ কল করে ঘটনা ¯’লে পুলিশ আসার কথা জানালে পুলিশ ঘটনা ¯’লে গিয়ে পৌছে দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আমার স্বামীকে ঘটনা¯’ল থেকে উদ্ধার করে নিরাপত্তার জন্য শাহপরান (রহঃ) থানায় নিয়ে যান। কিš‘ দুঃখের বিষয় থানায় নিয়ে আমার স্বামীকে আটক করে চাঁদাবাজ আখ্যা দেওয়া হয়। শাহপরা (রহঃ) থানায় সন্ত্রাসী নিপুর রয়েছে এক”ছত্র আধিপত্য। তাই দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা নিপুর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে র্কোটে চালান করে। সেই মামলার বাদি নিপুর বড় ভাই প্রবাসী শফিক। শাহপরান (রহঃ) থানা মামলা নং ১১/১৩৬ তারিখ: ১৭/০৬/২০২৩ইং। র্কোট তাকে জেল হাজতের প্রেরণের নির্দেশ দেন। একদিকে আমার স্বামী
জেল হাজতে অন্য দিকে নিপু ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যা”েছ। ঘটনার দিন রাত আনুমানিক ১১,০০ ঘটিকার সময় আমাকে রাস্তায় ছুটা ছুটি করতে দেখতে পেয়ে বালুচর নতুন বাজার চন্দন টিলার সম্মুখে আমার পথ রোধ করে। এ সময় উপস্তিত ছিলেন ১। মরতুজ আলী (৪৮) পিতা মৃত: ইয়াদ আলী। ২। হিরণ মাহমুদ নিপু (৩৭) পিতা: মৃত: ইয়াদ আলী, সাং- শান্তিবাগ, শান্তিকুটির আবাসিক এলাকা। ৩। সৈয়দ আমির আলী (৩৫) পিতা: অজ্ঞাত, সাং-কৃষি বিশ^বিদ্যালয়, রোড: নতুন বাজার। ৪। ফিরোজ আলী (২৫) পিতা: আব্দুছ ছত্তার, সাং বালুচর শান্তিবাগ। ৫। সাইদুল ইসলাম বাহার (২৩), পিতা: মৃত: সইদ আলী উরফে টুকরি ওয়ালা, সাং শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা বালুচর, ৬। সুলতান মিয়া (৩৫), পিতা: আব্দুছ ছত্তার, সাং শান্তিবাগ বালুচর, থানা: শাহপরান (রহঃ), জেলা: সিলেট। সন্ত্রাসীরা আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে ও আমার চার বছরের সন্তানকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে বলে নির্বাচনের আগ মূহুর্তে আমার স্বামীকে পুলিশের হাত থেকে না ছুটানোর জন্য। সে আরো বলে নিপুর নাম কারো কাছে প্রকাশ করলে আমার স্বামীকে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে পুঙ্গু করে দিবে। বিবাদী গণের এমন উশৃংখল আচরণে আমি আমার ৪ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীন অব¯’ায় রয়েছি।
সাংবাদিক ভাইয়েরাঃ
আমি সন্ত্রাসীদের ভয়ে নিরাপত্তার সার্থে গত ১৭/০৬/২০২৩ইং তারিখ রাত আনুমানিক ১০,০০ ঘটিকার সময় শাহপরান (রহঃ) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে থানা কর্তৃপক্ষ আমার অভিযোগ না নিয়ে লিখিত অভিযোগ পত্রটি রেখে দেয়। কিš‘ স্বাক্ষর দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকার করে নি। তাই আমি ও আমার সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে সিলেটের সচেতন মহল ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। ইয়াবা ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং নেতা হিরণ মাহমুদ নিপু ও তার সন্ত্রাসী বাহীনির হাত থেকে আমি ও আমার পরিবারকে বাচাতে আপনারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আই জিপি মহোদয়, র্যাবের ডিজি মহোদয়, সিলেটের ডি আইজি, মহানগর পুলিশ কমিশনার, সিলেটের পুলিশ সুপার, সহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।