সম্ভাব্য প্রার্থীদের ফেস্টুন ব্যানার অপসারণে ইসি

- আপডেট সময় : ০৬:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩ ১২২ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার,সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে না নেয়ায় অবশেষে মাঠে নেমেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল শনিবার প্রথম দিনে বিভিন্ন এলাকার ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হয়েছে। সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে চারটি টিম সিলেট মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় এসব অপসারণের কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১টার দিকে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় সাঁটানো ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করা হচ্ছে। এতে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদির নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও অপসারণের কার্যক্রমের অন্য তিনটি টিমে রয়েছেন-সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার, মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, হবিগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদির বলেন, ‘আমাদের এই অভিযান শুরু হয়েছে। এতে পুলিশ, আনসার, সিটি কর্পোরেশন সহযোগিতা করছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।এর আগে আমরা নগরীতে মাইকিং করেছি। কেউ যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন-তাহলে জেল-জরিমানা করা হবে।তবুও যদি কেউ আইন না মানেন-তাহলে ঐ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হবে।’নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, নির্বাচনে মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলরদের প্রচারণা সামগ্রী নিজ খরচে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা জারি করে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা দাখিলের আগে এসব প্রচারণা সামগ্রী না সরালে নগর কর্তৃপক্ষ কিংবা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।এদিকে, ব্যানার অপসারণ কার্যক্রম শুরু হবার পর অনেক প্রার্থীর লোকজনকে নিজ উদ্যোগে নিজ নিজ ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে দেখা গেছে।

শনিবার নগরীর ঝরনারপার এলাকায় দেখা যায়, একজন কাউন্সিলর প্রার্থী তার লোকজনকে দিয়ে বিভিন্ন স্থানে সাঁটানো ব্যানার-ফেস্টুন খুলে নিয়ে যাচ্ছেন।প্রসঙ্গত, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেটে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত দলের প্রার্থীরা মার্কা দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তফসিল ঘোষণার আগে ও পরে প্রার্থীদের অনেকে মার্কা যুক্ত করে প্রচারণা আচরণবিধি লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে বলেও জানান নির্বাচনী কর্মকর্তারা। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার, ব্যানার, দেয়াল লিখন, বিলবোর্ড, গেইট, তোরণ বা ঘের, প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা ইত্যাদি প্রচারসামগ্রী এবং নির্বাচনী ক্যাম্প থাকলে সেগুলো প্রার্থীদের উদ্যোগে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ রাত ১২টার মধ্যে সরাতে হবে।