ঢাকা ১০:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান সীমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবি’র জনসচেতনামূলক সভা অনুষ্ঠিত জেলরোড থেকে আক্তার হোসেন গ্রেফতার মাহে রামাদ্বান উপলক্ষে অসহায় ও হতদরিদ্রদের মধ্যে ফুড প্যাক বিতরণ এনসিপি’র শ্রমিক উইং এর কেন্দ্রীয় সংগঠক হলেন সিলেটের শিব্বির আহমদ পথশিশুদের নিয়ে ইউনিস্যাবের ঈদ উৎসব-২০২৫ উদ্যাপন তিন খানকে নিয়ে আসছে সিনেমা আমার বয়স নিয়ে নায়িকার সমস্যা না হলে আপনার কেন সমস্যা: সালমান সকালে খালি পেটে পানি পান করলে কী হয় শরীরে? মানসিক অবসাদ কাটাতে রাতে যা করবেন গাজীপুরে আইজিপি

ঈদের দিনের আমল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক, প্রিন্ট সংস্করণ,

ঈদ আরবি শব্দ, অর্থ ফিরে আসা।এ দিনটি যেহেতু প্রতি বছর ফিরে আসে মুসলিম জীবনে;তাই তাকে ঈদ বলা হয়।এ ঈদ নিয়ে মানুষের কত আনন্দ! কত খুশি যার শেষ নেই। ইসলামি শরিয়তে ঈদ পালনের রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা।নিম্নে ঈদের দিনের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

গোসল করা

ঈদের দিন গোসল করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা।হাদিসের মধ্যেও গোসল করার প্রমাণ পাওয়া যায়।হজরত ইবনে উমার (রা.)থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত যে,তিনি ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করতেন (সুনানে বায়হাকি ৫৯২০)।

সুন্দর জামাকাপড় পরা

গোসল করার পর উত্তম জামাকাপড় পরিধান করা। আমাদের সাধ্যমতো উত্তম জামাকাপড় পরিধান করা উচিত (নতুন হতে হবে তেমন নয়) কারণ আল্লাহ তার প্রদত্ত নেয়ামতের প্রকাশ দেখতে চান।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,আল্লাহতায়ালা তার বান্দার ওপর তার প্রদত্ত নিয়ামতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন।(সহিহ আল জামে ১৮৮৭)।

ঈদের নামাজের আগে কিছু খাওয়া

ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজ আদায় করার আগে আর ঈদুল আজহার দিন ঈদের নামাজের পর কিছু খাওয়া সুন্নাত।হজরত বুরাইদা (রা.)থেকে বর্ণিত,নবি করিম (সা.)ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে বের হতেন না,আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের আগে কিছু খেতেন না’ (তিরমিজি শরিফ : ৫৪৫)।

হেঁটে ঈগাহে যাওয়া

ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া সুন্নাত।হজরত আলী (রা.)হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,সুন্নত হলো ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া। (তিরমিজি শরিফ :৫৩৩)।আরেকটি সুন্নত হচ্ছে,এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া আর অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে,নবি করিম (সা.) ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন।(সহিহ বুখারি : ৯৮৬)।

খুতবা শোনা

ঈদের নামাজ শেষে ঈদের খুতবা শ্রবণ করা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।শরিয়ত মোতাবেক খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব (রা.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমি নবি করিম (সা.)-এর সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলাম।যখন তিনি ঈদের নামাজ শেষ করলেন,বললেন,আমরা এখন খুতবা দেব। যার ভালো লাগে সে যেন বসে আর যে চলে যেতে চায় সে যেতে পারে।(আবু দাউদ শরিফ : ১১৫৭)।

সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা

ফিতরা দান করা।রমজান মাসে রোজার যে ত্রুটি হয়েছে তা পূরণার্থে অভাবগ্রস্ত আর গরিবদের যে খাদ্যসামগ্রী দান করা হয় তাই হলো সাদকায়ে ফিতর। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.)ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করার আদেশ দিলেন।(সহিহ বুখারি : ১৫০৩)।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঈদের দিনের আমল

আপডেট সময় : ০১:২০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক, প্রিন্ট সংস্করণ,

ঈদ আরবি শব্দ, অর্থ ফিরে আসা।এ দিনটি যেহেতু প্রতি বছর ফিরে আসে মুসলিম জীবনে;তাই তাকে ঈদ বলা হয়।এ ঈদ নিয়ে মানুষের কত আনন্দ! কত খুশি যার শেষ নেই। ইসলামি শরিয়তে ঈদ পালনের রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা।নিম্নে ঈদের দিনের করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-

গোসল করা

ঈদের দিন গোসল করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা।হাদিসের মধ্যেও গোসল করার প্রমাণ পাওয়া যায়।হজরত ইবনে উমার (রা.)থেকে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত যে,তিনি ঈদুল ফিতরের দিনে ঈদগাহে যাওয়ার আগে গোসল করতেন (সুনানে বায়হাকি ৫৯২০)।

সুন্দর জামাকাপড় পরা

গোসল করার পর উত্তম জামাকাপড় পরিধান করা। আমাদের সাধ্যমতো উত্তম জামাকাপড় পরিধান করা উচিত (নতুন হতে হবে তেমন নয়) কারণ আল্লাহ তার প্রদত্ত নেয়ামতের প্রকাশ দেখতে চান।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,আল্লাহতায়ালা তার বান্দার ওপর তার প্রদত্ত নিয়ামতের প্রকাশ দেখতে পছন্দ করেন।(সহিহ আল জামে ১৮৮৭)।

ঈদের নামাজের আগে কিছু খাওয়া

ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজ আদায় করার আগে আর ঈদুল আজহার দিন ঈদের নামাজের পর কিছু খাওয়া সুন্নাত।হজরত বুরাইদা (রা.)থেকে বর্ণিত,নবি করিম (সা.)ঈদুল ফিতরের দিন না খেয়ে বের হতেন না,আর ঈদুল আজহার দিনে ঈদের সালাতের আগে কিছু খেতেন না’ (তিরমিজি শরিফ : ৫৪৫)।

হেঁটে ঈগাহে যাওয়া

ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া সুন্নাত।হজরত আলী (রা.)হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,সুন্নত হলো ঈদগাহে হেঁটে যাওয়া। (তিরমিজি শরিফ :৫৩৩)।আরেকটি সুন্নত হচ্ছে,এক রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে যাওয়া আর অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে,নবি করিম (সা.) ঈদের দিনে পথ বিপরীত করতেন।(সহিহ বুখারি : ৯৮৬)।

খুতবা শোনা

ঈদের নামাজ শেষে ঈদের খুতবা শ্রবণ করা। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।শরিয়ত মোতাবেক খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে সায়েব (রা.) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,আমি নবি করিম (সা.)-এর সঙ্গে ঈদ উদযাপন করলাম।যখন তিনি ঈদের নামাজ শেষ করলেন,বললেন,আমরা এখন খুতবা দেব। যার ভালো লাগে সে যেন বসে আর যে চলে যেতে চায় সে যেতে পারে।(আবু দাউদ শরিফ : ১১৫৭)।

সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা

ফিতরা দান করা।রমজান মাসে রোজার যে ত্রুটি হয়েছে তা পূরণার্থে অভাবগ্রস্ত আর গরিবদের যে খাদ্যসামগ্রী দান করা হয় তাই হলো সাদকায়ে ফিতর। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূল (সা.)ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করার আদেশ দিলেন।(সহিহ বুখারি : ১৫০৩)।