ঢাকা ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন: নানাভাবে চেষ্টা করেও পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, নানাভাবে চেষ্টা করেও পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমরা এ দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ছাড় দেওয়া হবে না।

শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজ্জামেল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সংসদ-সদস্য শাজাহান খান, এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মফিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তা এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।তিনি তার বক্তব্যে বলেন যে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বিভিন্ন দেশের গণহত্যা সম্পর্কে জানি।কিন্তু বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে সে ধরনের আলোচনা হয়না।প্রেট্রিক বারর্জেস বলেন,১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সময় বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যার বীজ বপন হয়।সীমানা ও ভৌগোলিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেই প্রভাব বাংলাদেশের মানুষের ওপর পড়ে। এর প্রেক্ষাপটেই এ দেশে গণহত্যা চালায় পাকিস্তান। 

প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভৌগোলিক অনেক পার্থক্য রয়েছে।তাই ধর্মের কারণে অভিন্ন রাষ্ট্র হতে পারে না। এ দেশকে ভারতের প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টার নামে গণহত্যা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনারা।উদাহরণ হিসাবে তিনি জানান, ইস্ট তিমুরে মাত্র সাড়ে ছয় লাখ লোকের বাস এবং সেখানে গণহত্যা হযেছে সেটি পুরো পৃথিবী জানে। কিন্তু বাংলাদেশে ৩০ লাখ মারা যাওয়ার পরেও সে সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা নেই।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজ্জামেল হক বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে,তারা এ ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করায় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৫:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ প্রতিবেদন: নানাভাবে চেষ্টা করেও পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, নানাভাবে চেষ্টা করেও পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্ব পরিমণ্ডলে আমরা এ দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে ছাড় দেওয়া হবে না।

শনিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজ্জামেল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সংসদ-সদস্য শাজাহান খান, এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মফিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে মূল বক্তা এশিয়া জাস্টিস অ্যান্ড রাইটসের প্রেসিডেন্ট প্রেট্রিক বারর্জেস প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।তিনি তার বক্তব্যে বলেন যে আন্তর্জাতিকভাবে আমরা বিভিন্ন দেশের গণহত্যা সম্পর্কে জানি।কিন্তু বাংলাদেশের গণহত্যা সম্পর্কে সে ধরনের আলোচনা হয়না।প্রেট্রিক বারর্জেস বলেন,১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার সময় বাংলাদেশের মানুষের ওপর গণহত্যার বীজ বপন হয়।সীমানা ও ভৌগোলিক কারণে উভয় দেশের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেই প্রভাব বাংলাদেশের মানুষের ওপর পড়ে। এর প্রেক্ষাপটেই এ দেশে গণহত্যা চালায় পাকিস্তান। 

প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ভৌগোলিক অনেক পার্থক্য রয়েছে।তাই ধর্মের কারণে অভিন্ন রাষ্ট্র হতে পারে না। এ দেশকে ভারতের প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টার নামে গণহত্যা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনারা।উদাহরণ হিসাবে তিনি জানান, ইস্ট তিমুরে মাত্র সাড়ে ছয় লাখ লোকের বাস এবং সেখানে গণহত্যা হযেছে সেটি পুরো পৃথিবী জানে। কিন্তু বাংলাদেশে ৩০ লাখ মারা যাওয়ার পরেও সে সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা নেই।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আকম মোজ্জামেল হক বলেছেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশে গণহত্যা চালিয়েছে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে,তারা এ ক্ষেত্রে নীরবতা পালন করায় স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে না।