ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান ড. ইউনূস শায়েস্তাগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৫টি দোকান পুড়ে চাই কোটি টাকার ক্ষতি চুনারুঘাটে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা গোয়াইনঘাটে টাস্কফোর্সের অভিযান: ১৫ টি নৌকা, ১০ টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ব্যর্থ বাংলাদেশ জামায়াতে যোগ দেওয়া নেতাকে ব হি ষ্কা র করলো ছাত্রদল সিলেট ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তুষারের খুনি, মূল আসামি পারভেজকে ঢাকা গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার আল-আকসা মসজিদ ভাঙার পরিকল্পনা ইসরাইলিদের হামাসের হামলায় ইসরাইলের ৬ সেনা হতাহত

যে কারণে বিএনপি থেকে বহিষ্কার শওকত মাহমুদ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩ ১২১ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক এ নেতা বলেছেন,দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।বহিষ্কারের কারণ হিসেবে জানা যায়,শওকত মাহমুদকে নিয়ে বহুদিন ধরেই বিএনপির উচ্চ পর্যায়ে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছিল। তার কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছিল।এর আগে তাকে দুদফা শোকজ করা হয়েছিল। সবশেষ ১৬ মার্চ রাজধানী বনানীর এক হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সুধী সমাবেশ ও নৈশভোজের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিএনপির সন্দেহের সৃষ্টি হয়।সংগঠনটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

নৈশভোজের আয়োজনের বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ড বা সিনিয়র পর্যায়ের কোনো নেতাকে জানানো হয়নি। যে কারণে এই অনুষ্ঠানের ওপর দলটির বিভিন্ন পর্যায় থেকে তীক্ষ্ণ নজর ছিল।শওকত মাহমুদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে ফোন করে অনুষ্ঠানে না যেতে বলা হয় দলের পক্ষ থেকে।যারা নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন,পরে তারা অংশ নেননি।এমনকি আমন্ত্রিত অতিথিদের নজরদারি করতে দুই সাবেক ছাত্রনেতাকে সেখানে পাঠানো হয়, যাদের মধ্যে একজন অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারণ করেন।আর অন্যজন সরাসরি লাইভে বিএনপির শীর্ষ নেতাকে দেখান।সূত্রমতে,সোমবারের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ অনুষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানে নেতারা বলেন,গত বছরের এপ্রিলে পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ ডেকে সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন। সেই পটভূমিতে তখন ওই সমাবেশের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক ছিল না। 

এর আগে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বরও হাইকমান্ডকে না জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি মিছিল বের করে মুক্তাঙ্গনে গিয়ে অবস্থান নেন। দুই কর্মসূচির নেতৃত্বেই ছিলেন শওকত মাহমুদ।দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ‘সরকার পরিবর্তন আন্দোলন’এর সঙ্গে যুক্ত থাকা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।তাকে দুবার শোকজ করা হলেও এসব থেকে তিনি বের হতে পারেননি। সভায় এক নেতা বলেন, যেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে বিজয়ী হলে রাজপথে আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন,সেখানে ইনসাফ কায়েম কমিটির ব্যানারে শওকত মাহমুদ তার প্রস্তাবনায় অন্তর্বর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠনের দাবি করেছেন।শুধু তাই নয়,প্রস্তাবনায় জাতীয় সরকার গঠনের পর সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়।দলের পদে থেকে ভিন্ন ব্যানারে শীর্ষ নেতার সিদ্ধান্তকে অমান্য করেছেন তিনি।

আরেক নেতা বলেন,জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির ব্যানারে যে অনুষ্ঠান হয়েছে,সেখানে একাধিক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ছিলেন,যাদের শওকত মাহমুদের আগের দুই বিতর্কিত কর্মসূচিতেও দেখা গেছে। আগে ক্ষমা করা হলেও এখন ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দলে ভিন্ন মেসেজ যেতে পারে।পরে স্থায়ী কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ বিষয়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলেও কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও দুজন যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বনানীর হোটেলে সুধী সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২৬ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।তাদের উদ্দেশ্য ছিল দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও অঙ্গ সংগঠনের একজন শীর্ষ নেতাকে ফোকাস করা।কিন্তু তারা দলের হাইকমান্ডকে বিষয়টি আগেই জানিয়ে দেন এবং সেখানে অংশ নেবেন না বলেও নিশ্চিত করেন।

নেতারা জানান,তাদের অনুষ্ঠানে অর্থের উৎস নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।বিএনপির কাছে তথ্য রয়েছে,এর পেছনে একটি শক্তি কাজ করছে। এর আগেও নানা তৎপরতায় তাদের নাম এসেছে। এখন আবারও নতুন করে কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। বিএনপির নেতৃত্ব ও আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করাই হলো তাদের মূল উদ্দেশ্য।এর সঙ্গে বিএনপিরকিছু নেতা ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও কিছু পেশাজীবী নেতা জড়িত আছেন।যারা ফেব্রুয়ারিতেও থাইল্যান্ডে গোপন বৈঠক করেছেন বলেও তথ্য আছে।বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন,এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।দু-একদিন পর বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাব।

এর আগেও দুবার শওকত মাহমুদকে শোকজ করে বিএনপি।সর্বশেষ ২০২০ সালে ডিসেম্বরে সংগঠনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাকে শোকজ করা হয়েছিল। সেই সময় শোকজের জবাবে সন্তষ্ট হওয়ায় তাকে ক্ষমা করে দলটি।বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়।তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ছিলেন। 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যে কারণে বিএনপি থেকে বহিষ্কার শওকত মাহমুদ 

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিক এ নেতা বলেছেন,দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরবেন।বহিষ্কারের কারণ হিসেবে জানা যায়,শওকত মাহমুদকে নিয়ে বহুদিন ধরেই বিএনপির উচ্চ পর্যায়ে এক ধরনের অস্বস্তি কাজ করছিল। তার কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছিল।এর আগে তাকে দুদফা শোকজ করা হয়েছিল। সবশেষ ১৬ মার্চ রাজধানী বনানীর এক হোটেলে ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সুধী সমাবেশ ও নৈশভোজের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বিএনপির সন্দেহের সৃষ্টি হয়।সংগঠনটির আহ্বায়ক বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

নৈশভোজের আয়োজনের বিষয়টি বিএনপির হাইকমান্ড বা সিনিয়র পর্যায়ের কোনো নেতাকে জানানো হয়নি। যে কারণে এই অনুষ্ঠানের ওপর দলটির বিভিন্ন পর্যায় থেকে তীক্ষ্ণ নজর ছিল।শওকত মাহমুদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকে ফোন করে অনুষ্ঠানে না যেতে বলা হয় দলের পক্ষ থেকে।যারা নৈশভোজে আমন্ত্রিত ছিলেন,পরে তারা অংশ নেননি।এমনকি আমন্ত্রিত অতিথিদের নজরদারি করতে দুই সাবেক ছাত্রনেতাকে সেখানে পাঠানো হয়, যাদের মধ্যে একজন অনুষ্ঠানের ভিডিও ধারণ করেন।আর অন্যজন সরাসরি লাইভে বিএনপির শীর্ষ নেতাকে দেখান।সূত্রমতে,সোমবারের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ অনুষ্ঠান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। সেখানে নেতারা বলেন,গত বছরের এপ্রিলে পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ ডেকে সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন। সেই পটভূমিতে তখন ওই সমাবেশের সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক ছিল না। 

এর আগে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বরও হাইকমান্ডকে না জানিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি মিছিল বের করে মুক্তাঙ্গনে গিয়ে অবস্থান নেন। দুই কর্মসূচির নেতৃত্বেই ছিলেন শওকত মাহমুদ।দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ‘সরকার পরিবর্তন আন্দোলন’এর সঙ্গে যুক্ত থাকা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।তাকে দুবার শোকজ করা হলেও এসব থেকে তিনি বের হতে পারেননি। সভায় এক নেতা বলেন, যেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে বিজয়ী হলে রাজপথে আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন,সেখানে ইনসাফ কায়েম কমিটির ব্যানারে শওকত মাহমুদ তার প্রস্তাবনায় অন্তর্বর্তীকালীন একটি জাতীয় সরকার গঠনের দাবি করেছেন।শুধু তাই নয়,প্রস্তাবনায় জাতীয় সরকার গঠনের পর সেই সরকারকে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান প্রণয়ন এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানানো হয়।দলের পদে থেকে ভিন্ন ব্যানারে শীর্ষ নেতার সিদ্ধান্তকে অমান্য করেছেন তিনি।

আরেক নেতা বলেন,জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির ব্যানারে যে অনুষ্ঠান হয়েছে,সেখানে একাধিক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা ছিলেন,যাদের শওকত মাহমুদের আগের দুই বিতর্কিত কর্মসূচিতেও দেখা গেছে। আগে ক্ষমা করা হলেও এখন ব্যবস্থা নেওয়া না হলে দলে ভিন্ন মেসেজ যেতে পারে।পরে স্থায়ী কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ বিষয়ে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা হলেও কেউ নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও দুজন যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বনানীর হোটেলে সুধী সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ২৬ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।তাদের উদ্দেশ্য ছিল দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও অঙ্গ সংগঠনের একজন শীর্ষ নেতাকে ফোকাস করা।কিন্তু তারা দলের হাইকমান্ডকে বিষয়টি আগেই জানিয়ে দেন এবং সেখানে অংশ নেবেন না বলেও নিশ্চিত করেন।

নেতারা জানান,তাদের অনুষ্ঠানে অর্থের উৎস নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।বিএনপির কাছে তথ্য রয়েছে,এর পেছনে একটি শক্তি কাজ করছে। এর আগেও নানা তৎপরতায় তাদের নাম এসেছে। এখন আবারও নতুন করে কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। বিএনপির নেতৃত্ব ও আন্দোলন নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করাই হলো তাদের মূল উদ্দেশ্য।এর সঙ্গে বিএনপিরকিছু নেতা ছাড়াও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও কিছু পেশাজীবী নেতা জড়িত আছেন।যারা ফেব্রুয়ারিতেও থাইল্যান্ডে গোপন বৈঠক করেছেন বলেও তথ্য আছে।বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন,এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।দু-একদিন পর বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া জানাব।

এর আগেও দুবার শওকত মাহমুদকে শোকজ করে বিএনপি।সর্বশেষ ২০২০ সালে ডিসেম্বরে সংগঠনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাকে শোকজ করা হয়েছিল। সেই সময় শোকজের জবাবে সন্তষ্ট হওয়ায় তাকে ক্ষমা করে দলটি।বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়।তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি ছিলেন।