ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন হচ্ছে- অস্ত্রসহ আটক বিএনপি নেতার ছেলে এডভোকেট গাফফার ও বাবলুর সুস্থতা কামনায় সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া ভোর রাতে সিলেটে গোয়াইনঘাটে যুবক খু ন বিশ্বনাথে শিশু নির্যাতন, ইউপি চেয়ারম্যান’সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মা ম লা ৫০কোটি টাকার ভারতীয় চিনির চালান আটক বিশ্বনাথে ঘুষ নেওয়ার অভিযােগে এস আই আলীম উদ্দিন ক্লো জ নারকেল তেলের সঙ্গে যা মেশালে কমবে চু ল পড়া প্রখ্যাত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক লতিফেহকে গ্রেফতার করল ইসরাইল অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স ও জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের সমঝোতা চুক্তি

রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা’জিএম কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন,মনে হচ্ছে দেশ একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে।তিনি বলেন, ‘দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে অবস্থানে আছে,সেখান থেকে তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।যে দল সরে যাবেন সেই দলই যেন বিলীন হয়ে যাবে।আবার যে দল পরাজিত হবে সেই দলের যেন মৃত্যু হবে। এই বাস্তবতায় একটা বড় ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার নুর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। 

জিএম কাদের বলেন,আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই রাজনীতি করছি।শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই যেন ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা থাকে।লজ্জার বিষয় হচ্ছে এতদিনেও আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে পারিনি।ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় এমন অবস্থা তৈরি হয়,ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই যেন বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে।তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না।ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় একটি অনিশ্চিত ও সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না।তিনি বলেন, ‘ইভিএমে নির্বাচন আমরা চাই না। কারণ ইভিএমে নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ আছে। আমরা মনে করি,যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত তারা দলীয়করণের মধ্যেই আছেন।তাদের হাতে ইভিএমের রেজাল্ট পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। আমরা মনে করি,ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল বদলে দেওয়া যায়।’ 

জিএম কা‌দের বলেন,ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।আবার মাদকের ব্যবসাই সব চেয়ে লাভজনক ব্যবসা।তাই দেখা যায় ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরাই মাদক বিস্তারে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এ কারণেই দেশে মাকদের বিস্তার কমছে না।তিনি বলেন,মাদক প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে বিনাবিচারে অনেককে হত্যা করা হয়েছে।কিন্তু মাদক নির্মূল করা যায়নি।এখন চা ও মুদি দোকানেও মাদক পাওয়া যায়।জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন,মাদকের বিস্তার রোধ করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।পরিবার থেকেই মাদক প্রতিরোধে উদ্যোগ নিতে হবে।

মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি সেলিম নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পা‌র্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ,জহিরুল আলম রুবেল,ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন ডালু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদ সুজন দে প্রমুখ।সভা পরিচালনা করেন মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির মো.খসরু।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা’জিএম কাদের

আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন,মনে হচ্ছে দেশ একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে।রাজনৈতিক উত্তেজনায় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে।তিনি বলেন, ‘দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি যে অবস্থানে আছে,সেখান থেকে তাদের আর ফিরে আসার সুযোগ নেই।যে দল সরে যাবেন সেই দলই যেন বিলীন হয়ে যাবে।আবার যে দল পরাজিত হবে সেই দলের যেন মৃত্যু হবে। এই বাস্তবতায় একটা বড় ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার নুর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। 

জিএম কাদের বলেন,আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠিত করতেই রাজনীতি করছি।শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই যেন ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা থাকে।লজ্জার বিষয় হচ্ছে এতদিনেও আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যবস্থা করতে পারিনি।ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় এমন অবস্থা তৈরি হয়,ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই যেন বড় ধরনের বিপদে পড়তে হবে।তাই স্বাভাবিকভাবেই কেউ ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায় না।ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় একটি অনিশ্চিত ও সাংঘর্ষিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না।তিনি বলেন, ‘ইভিএমে নির্বাচন আমরা চাই না। কারণ ইভিএমে নির্বাচনে কারচুপির সুযোগ আছে। আমরা মনে করি,যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত তারা দলীয়করণের মধ্যেই আছেন।তাদের হাতে ইভিএমের রেজাল্ট পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। আমরা মনে করি,ইভিএমের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল বদলে দেওয়া যায়।’ 

জিএম কা‌দের বলেন,ব্যবসায়ীরা এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।আবার মাদকের ব্যবসাই সব চেয়ে লাভজনক ব্যবসা।তাই দেখা যায় ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরাই মাদক বিস্তারে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এ কারণেই দেশে মাকদের বিস্তার কমছে না।তিনি বলেন,মাদক প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে বিনাবিচারে অনেককে হত্যা করা হয়েছে।কিন্তু মাদক নির্মূল করা যায়নি।এখন চা ও মুদি দোকানেও মাদক পাওয়া যায়।জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন,মাদকের বিস্তার রোধ করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।পরিবার থেকেই মাদক প্রতিরোধে উদ্যোগ নিতে হবে।

মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি সেলিম নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় পা‌র্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আবদুস সবুর আসুদ,জহিরুল আলম রুবেল,ভাইস চেয়ারম্যান আমির উদ্দিন ডালু, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদ সুজন দে প্রমুখ।সভা পরিচালনা করেন মাদক প্রতিরোধ ও কল্যাণ সোসাইটির মো.খসরু।