ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ড. ইউনূস – নরেন্দ্র মোদির ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শাহজালালে কতক্ষণ ছিলেন আব্দুল হামিদ হবিগঞ্জে সেনাঅভিযানে আ.লীগ নে তা গ্রেফ তার করোনা বাড়ছে, মাস্ক পরার অনুরোধ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্ত্রীর জানাজায় অঝোরে কাঁদলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ড.ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে চান টিউলিপ দীর্ঘদিন কুরবানির মাংস সংরক্ষণের সহজ উপায় কুরবানির ঈদ: ঝক্কি ছাড়াই ভুঁড়ি পরিষ্কারের দারুণ কৌশল কুরবানিতে মাংস খাওয়ার পর হজমে যে শরবত খাবেন ঈদের দিন কারাগারে গলা ছেড়ে গাইলেন নোবেল

মুরব্বিয়ানা করতে পারব না, নিজেরা নিরসন করে ভোটে আসুন: সিইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য নিরসন হবে বলে আশা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, দলগুলো নিজেরা মতপার্থক্য নিরসনে চেষ্টা করুক। নির্বাচন কমিশন এখানে মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা আগেও বলেছি, তাদের প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন। নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।’

সব দলকে ভোটে আসার আহ্বানের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে কমিশনের সব ধরনের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেন, আমরা ভদ্রভাবে, বিনীতভাবে সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশ নিন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে একধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, অনুমান ও বাস্তবতার নিরিখে বলা যায়—ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। কারণ মেয়াদ আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে ওই নির্বাচনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। 

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব এবং আমরা আইনশৃঙ্খলা–বিষয়ক যে সংস্থাগুলো আছে, তাদের স্ট্রিকলি বলে থাকি—আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত যে আইনশৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের; এককভাবে এ দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মুরব্বিয়ানা করতে পারব না, নিজেরা নিরসন করে ভোটে আসুন: সিইসি

আপডেট সময় : ০৮:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য নিরসন হবে বলে আশা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, দলগুলো নিজেরা মতপার্থক্য নিরসনে চেষ্টা করুক। নির্বাচন কমিশন এখানে মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা আগেও বলেছি, তাদের প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি, আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মতপার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন। নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে মুরব্বিয়ানা করতে পারবে না।’

সব দলকে ভোটে আসার আহ্বানের পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণমূলক ও নির্বিঘ্ন পরিবেশ তৈরিতে কমিশনের সব ধরনের পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেন, আমরা ভদ্রভাবে, বিনীতভাবে সব রাজনৈতিক দলকে বলব, আপনারা যেকোনো প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশ নিন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন, যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে একধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, অনুমান ও বাস্তবতার নিরিখে বলা যায়—ভোট যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, ব্যাপকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তখন ভোটার উপস্থিতি বেশি থাকে। উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হয়েছে। কারণ মেয়াদ আছে মাত্র ১০ মাস। আর সত্যিকার অর্থে ওই নির্বাচনগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। 

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করব, বক্স সাপ্লাই করব এবং আমরা আইনশৃঙ্খলা–বিষয়ক যে সংস্থাগুলো আছে, তাদের স্ট্রিকলি বলে থাকি—আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত যে আইনশৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের; এককভাবে এ দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।