ঢাকা ০৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বছরের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল সুপারমুন দেখা যাবে আজ সিলেটে ডেঙ্গু আক্রান্তে বাড়ছে ভাইরাসের সংক্রমণ,৪ দিনে আক্রান্ত ২৪ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন অন্ষ্ঠুানে বক্তারা-নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে প্রয়োজন আচরণগত পরিবর্তন সিলেটে ১ লক্ষ ৮০০ টাকা মূল্যের ভারতীয় কিটক্যাট চকলেট ও একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ গ্রেপ্তার ১ সিলেটে খাদিমনগর সড়কে সিএনজি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২,আহত ৬ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন হবিগঞ্জের নুরুন্নবী সিলেটে অভিযান – আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১২ জ্ঞান অর্জন করে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে: জেলা প্রশাসক  হার্ট সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘ডি’ কতটা গুরুত্বপূর্ণ ‘সালমান শাহ বেঁচে থাকলে বলিউডকে টেক্কা দিত ঢালিউড’

হার্ট সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘ডি’ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে

লাইফ স্টাইল ডেস্ক :

হার্ট সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘ডি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর রক্তে ভিটামিন ‘ডি’ কম থাকার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে— সাধারণত চিকিৎসকের সুপারিশ করা ৬০০ থেকে ৮০০ ইউনিট ভিটামিন ‘ডি’ প্রতিদিনের ডোজ অনেকের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। কিছু রোগীর জন্য রক্তে স্বাস্থ্যকর ভিটামিন ‘ডি’ পৌঁছানোর জন্য দৈনিক ১০ হাজার ইউনিটের বেশি দরকার।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, সাধারণত চিকিৎসকের সুপারিশ করা ৬০০-৮০০ ইউনিট ভিটামিন ‘ডি’ প্রতিদিনের ডোজ অনেকের জন্য না হওয়ার কারণ হচ্ছে—হাড় মজবুত রাখার জন্য ভিটামিন ডির প্রয়োজনীয়তা। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে; আমরা যদি সত্যিই ভিটামিন ডি’র ফলপ্রসূ উপকার পেতে চাই, বিশেষ করে হার্টের ক্ষেত্রে; তবে আমাদের কতটুকু ভিটামিন ‘ডি’ নেওয়া উচিত। সঠিক পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ নেওয়ার বিষয়টিকে যতটা সহজ ভাবা হয়, ততটা সহজ নয় বলেও উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। 

তবে চিকিৎসকরা যদি ভালোভাবে পরীক্ষা করে ডোজ দেন এবং প্রতিটি ব্যক্তির জন্য সঠিক পরিমাণ ভিটামিন ‘ডি’ দেন; তবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব এবং আরও বেশি মানুষকে সুস্থ রাখা সম্ভব। গবেষণায় ‘পার্সোনালাইজড’ চিকিৎসার গুরুত্বকেও তুলে ধরা হয়েছে। সবাইকে একই রকম ডোজ দেওয়ার বদলে চিকিৎসকদের জন্য রোগীদের ভিটামিন ‘ডি’ স্তর পরীক্ষা করে ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ‘ইন্টারমাউন্টেন হেলথ’-এর নতুন গবেষণায় প্রশ্ন উঠেছে— স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেসব সাধারণ ভিটামিন ‘ডি’ ডোজ সুপারিশ করেন, তা কি সত্যিই হৃদরোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট?

প্রধান গবেষক ডা. হেইডি মে বলেছেন, পুরোনো বিভিন্ন গবেষণায় হয়তো ভালো ফলাফল মেলেনি। কারণ সেখানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন’ডি’ দেওয়া হয়নি। যার মানে হচ্ছে, কেবল ভিটামিন ‘ডি’ ডোজ কম দেওয়ার কারণে অতীতের গবেষণায় ভিটামিন ‘ডি’র পূর্ণ উপকারিতা খতিয়ে দেখা যায়নি।

আরেক গবেষক ডা. ভিয়েত লে বলেছেন, প্রতিটি ব্যক্তির ভিটামিন ডি’র চাহিদা আলাদা। ফলে সবার জন্য একই ডোজ ব্যবহারের বিষয়টি কার্যকর নয়। কারও কারও জন্য স্বাস্থ্যকর স্তরে পৌঁছানোর জন্য বেশি পরিমাণ ভিটামিন ডি প্রয়োজন হতে পারে।

হৃদরোগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন সেসব রোগী, তাদের গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এক দল গবেষক। এসব রোগীর রক্তে ভিটামিন ডি’র হার প্রতি মিলিলিটারে ৪০ ন্যানোগ্রাম বা তার বেশি নিয়ে আসা। কারণ গবেষকরা মনে করেন— ভিটামিন ডি’র এই মাত্রা হার্টের জন্য ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীকে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে অনেকের জন্য চিকিৎসকরা সাধারণত যে ডোজ দেন, তার চেয়ে অনেক বেশি ডোজ প্রয়োজন। ভিটামিন ‘ডি’ বেশি মাত্রায় নিলেও অনেকের লক্ষ্য স্তরে পৌঁছাতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হার্ট সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘ডি’ কতটা গুরুত্বপূর্ণ

আপডেট সময় : ১১:০৯:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

লাইফ স্টাইল ডেস্ক :

হার্ট সুস্থ রাখতে ভিটামিন ‘ডি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর রক্তে ভিটামিন ‘ডি’ কম থাকার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তবে নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে— সাধারণত চিকিৎসকের সুপারিশ করা ৬০০ থেকে ৮০০ ইউনিট ভিটামিন ‘ডি’ প্রতিদিনের ডোজ অনেকের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। কিছু রোগীর জন্য রক্তে স্বাস্থ্যকর ভিটামিন ‘ডি’ পৌঁছানোর জন্য দৈনিক ১০ হাজার ইউনিটের বেশি দরকার।

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, সাধারণত চিকিৎসকের সুপারিশ করা ৬০০-৮০০ ইউনিট ভিটামিন ‘ডি’ প্রতিদিনের ডোজ অনেকের জন্য না হওয়ার কারণ হচ্ছে—হাড় মজবুত রাখার জন্য ভিটামিন ডির প্রয়োজনীয়তা। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, হার্টের স্বাস্থ্যের জন্যও ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে; আমরা যদি সত্যিই ভিটামিন ডি’র ফলপ্রসূ উপকার পেতে চাই, বিশেষ করে হার্টের ক্ষেত্রে; তবে আমাদের কতটুকু ভিটামিন ‘ডি’ নেওয়া উচিত। সঠিক পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ নেওয়ার বিষয়টিকে যতটা সহজ ভাবা হয়, ততটা সহজ নয় বলেও উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। 

তবে চিকিৎসকরা যদি ভালোভাবে পরীক্ষা করে ডোজ দেন এবং প্রতিটি ব্যক্তির জন্য সঠিক পরিমাণ ভিটামিন ‘ডি’ দেন; তবে হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব এবং আরও বেশি মানুষকে সুস্থ রাখা সম্ভব। গবেষণায় ‘পার্সোনালাইজড’ চিকিৎসার গুরুত্বকেও তুলে ধরা হয়েছে। সবাইকে একই রকম ডোজ দেওয়ার বদলে চিকিৎসকদের জন্য রোগীদের ভিটামিন ‘ডি’ স্তর পরীক্ষা করে ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী সাপ্লিমেন্ট সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্র অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ‘ইন্টারমাউন্টেন হেলথ’-এর নতুন গবেষণায় প্রশ্ন উঠেছে— স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যেসব সাধারণ ভিটামিন ‘ডি’ ডোজ সুপারিশ করেন, তা কি সত্যিই হৃদরোগ বা স্ট্রোক প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট?

প্রধান গবেষক ডা. হেইডি মে বলেছেন, পুরোনো বিভিন্ন গবেষণায় হয়তো ভালো ফলাফল মেলেনি। কারণ সেখানে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন’ডি’ দেওয়া হয়নি। যার মানে হচ্ছে, কেবল ভিটামিন ‘ডি’ ডোজ কম দেওয়ার কারণে অতীতের গবেষণায় ভিটামিন ‘ডি’র পূর্ণ উপকারিতা খতিয়ে দেখা যায়নি।

আরেক গবেষক ডা. ভিয়েত লে বলেছেন, প্রতিটি ব্যক্তির ভিটামিন ডি’র চাহিদা আলাদা। ফলে সবার জন্য একই ডোজ ব্যবহারের বিষয়টি কার্যকর নয়। কারও কারও জন্য স্বাস্থ্যকর স্তরে পৌঁছানোর জন্য বেশি পরিমাণ ভিটামিন ডি প্রয়োজন হতে পারে।

হৃদরোগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন সেসব রোগী, তাদের গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এক দল গবেষক। এসব রোগীর রক্তে ভিটামিন ডি’র হার প্রতি মিলিলিটারে ৪০ ন্যানোগ্রাম বা তার বেশি নিয়ে আসা। কারণ গবেষকরা মনে করেন— ভিটামিন ডি’র এই মাত্রা হার্টের জন্য ভালো। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীকে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট নিতে হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে অনেকের জন্য চিকিৎসকরা সাধারণত যে ডোজ দেন, তার চেয়ে অনেক বেশি ডোজ প্রয়োজন। ভিটামিন ‘ডি’ বেশি মাত্রায় নিলেও অনেকের লক্ষ্য স্তরে পৌঁছাতে তিন থেকে ছয় মাস সময় লেগেছে।