ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান গাজায় ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ ফেরানোর আহ্বান ৩ প্রভাবশালী দেশের তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন মির্জা ফখরুল বিদেশে বসে আ.লীগের আন্দোলনের ডাক, যা বললেন জান্নাতুন নাঈম বিমসটেক সম্মেলন ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না আ.লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবি,লাগাতার কর্মসূচি এনসিপির মাধবপুরে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় কিসমিস আটক বাহুবলের মিরপুরে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ আহত ৫ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ভারতকে হারাতে চায় হামজায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আজমিরীগঞ্জে এবার শুরু নদী থেকে মাটি কাটার মহোৎসব

আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই:প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ ১১২ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। বাবা-মা,ভাই সব হারিয়েছি।যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম ৮১ সালে নিঃস্ব,রিক্ত হয়ে।আমি জানতাম না কোথায় আমি থাকব,কিভাবে চলব- কোনো চিন্তা করিনি।তিনি বলেন,শুধু একটা চিন্তা করেছি এ দেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন।এদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে হবে।এদেশের মানুষকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে।গৃহহীন মানুষকে ঘর দিতে হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে,শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।মানুষকে উন্নত জীবন দিতে হবে। স্বাধীনতার সুফল প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’শনিবার বিকালে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।দেশে এক ইঞ্চি মাটিও পতিত থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,দেশের আনাচে কানাচে সব মাটিতে ফসল ফলাব।নিজের খাবারের জন্য মাঠে কাজ করতে কোনো লজ্জা নেই।আমরা নিজেরা খাদ্যশস্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করব।আমরা আর কারো কাছে হাত পাততে চাই না।তিনি বলেন,আমরা বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছি।মানুষ এখন দেশে শান্তিতে বসবাস করছে।এখন আমাদের ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে। বর্তমানে দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমি শুনেছি-বিএনপির কোনো এক নেতা আছে নাকি সারা দিন মাইক নিয়ে বসে থাকে।তারা নাকি বলে, আমরা নাকি দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছি। আচ্ছা ময়মনসিংহবাসী আপনারাই বলুন, আমরা কি দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছি? বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা বাড়াই বিএনপি কমায়।বিএনপির আমলে দুর্নীতিবাজরা কমিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে।আমরা চাই,সব ঘর আলোকিত হোক।বিদ্যুৎ না হলে এত কথা মাইকে আসতো কিভাবে।

তিনি বলেন,আমাদেরকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। আমরা নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।২০৪১ সালে আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।আমাদের গ্রাম,কৃষি সবকিছু হবে স্মার্ট।আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে,দেশের উন্নয়ন করা।আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্য ডেল্টা প্ল্যান করে এই ভূখণ্ড আরও উন্নত করব।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,আপনারা অনেক কষ্ট করে এই সভায় এসেছেন।আপনারা এই সভাকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন।আপনাদের উদ্দেশে বলতে চাই-রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই,আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই এর আগে জনসভায় যোগ দিয়ে একযোগে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সমাবেশস্থল সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে একযোগে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এর মধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সরকারপ্রধান।পরে দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী।বিকাল ৩টায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন।এরপর প্রধানমন্ত্রীকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম,মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.ইকরামুল হক টিটু, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন।একই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা দেওয়া হয়।পরে জাতীয় সংগীত ও কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই:প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ১২:৫০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। বাবা-মা,ভাই সব হারিয়েছি।যেদিন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলাম ৮১ সালে নিঃস্ব,রিক্ত হয়ে।আমি জানতাম না কোথায় আমি থাকব,কিভাবে চলব- কোনো চিন্তা করিনি।তিনি বলেন,শুধু একটা চিন্তা করেছি এ দেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন।এদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে হবে।এদেশের মানুষকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে।গৃহহীন মানুষকে ঘর দিতে হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে,শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।মানুষকে উন্নত জীবন দিতে হবে। স্বাধীনতার সুফল প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।’শনিবার বিকালে ময়মনসিংহ জেলা সার্কিট হাউজ মাঠে আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহের বিভাগীয় জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।দেশে এক ইঞ্চি মাটিও পতিত থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,দেশের আনাচে কানাচে সব মাটিতে ফসল ফলাব।নিজের খাবারের জন্য মাঠে কাজ করতে কোনো লজ্জা নেই।আমরা নিজেরা খাদ্যশস্য উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করব।আমরা আর কারো কাছে হাত পাততে চাই না।তিনি বলেন,আমরা বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছি।মানুষ এখন দেশে শান্তিতে বসবাস করছে।এখন আমাদের ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুত আছে। বর্তমানে দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই।প্রধানমন্ত্রী বলেন,আমি শুনেছি-বিএনপির কোনো এক নেতা আছে নাকি সারা দিন মাইক নিয়ে বসে থাকে।তারা নাকি বলে, আমরা নাকি দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছি। আচ্ছা ময়মনসিংহবাসী আপনারাই বলুন, আমরা কি দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছি? বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা বাড়াই বিএনপি কমায়।বিএনপির আমলে দুর্নীতিবাজরা কমিয়ে দিয়েছে। বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে।আমরা চাই,সব ঘর আলোকিত হোক।বিদ্যুৎ না হলে এত কথা মাইকে আসতো কিভাবে।

তিনি বলেন,আমাদেরকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। আমরা নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।২০৪১ সালে আমাদের জনগোষ্ঠী স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।আমাদের গ্রাম,কৃষি সবকিছু হবে স্মার্ট।আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে,দেশের উন্নয়ন করা।আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্য ডেল্টা প্ল্যান করে এই ভূখণ্ড আরও উন্নত করব।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,আপনারা অনেক কষ্ট করে এই সভায় এসেছেন।আপনারা এই সভাকে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন।আপনাদের উদ্দেশে বলতে চাই-রিক্ত আমি নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই,আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই এর আগে জনসভায় যোগ দিয়ে একযোগে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে সমাবেশস্থল সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে একযোগে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এর মধ্যে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন সরকারপ্রধান।পরে দুপুর ২টা ৫৮ মিনিটে জনসভা মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী।বিকাল ৩টায় প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন।এরপর প্রধানমন্ত্রীকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম,মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.ইকরামুল হক টিটু, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন।একই সঙ্গে নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা দেওয়া হয়।পরে জাতীয় সংগীত ও কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।