সিলেটে অন্যের টিকিটে রেল ভ্রমণ, ২০জনকে জরিমানা
 
																
								
							
                                - আপডেট সময় : ০১:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে অন্যের টিকিটে রেল ভ্রমণের অপরাধে ২০জন যাত্রীকে জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসন।শুক্রবার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট তদারকিকালে ২০জন যাত্রীকে অন্যের টিকিটে ভ্রমণের দায়ে জরিমানা করা হয়। সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা রেল স্টেশনে অবস্থান নিয়ে ট্রেন যাত্রীদের টিকিট ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি কার্ড) চেক করেন তারা।
জানা যায়, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলি রানী দেব ও শিহাব সারোয়ার অভি সিলেট রেল স্টেশনে অবস্থান নিয়ে ট্রেনে যাওয়া আসা করা যাত্রীদের টিকিট ও এনআইডি কার্ড চেক করেন। এসময় রেল কর্মী, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছিলেন।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাব সারোয়ার অভি বলেন, ‘টিকিটে উল্লেখিত নামের সঙ্গে যাত্রীর নামের অমিল ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না থাকায় দুপুর পর্যন্ত অন্তত ২০ জন যাত্রীকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিজনকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মুহাম্মদ নুরুল ইসলামসহ রেল কর্মকর্তা, র্যাব, রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।’
এরআগে গত ১৬ অক্টোবর সিলেট জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতিবিদ, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে নিজ নামে টিকিট ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো।
সিলেট রেল স্টেশনে টিকি কালোবাজারির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-সিলেট সড়কের নাজুক অবস্থার কারণে ট্রেনের টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। এতে বেড়েছে কালোবাজারিও। অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৩/৪ মিনিটের মধ্যেই সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। যার বড় অংশই কালোবাজারিরা কিনে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কালোবাজারি বন্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নিজ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই সভা শেষে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেছিলেন, আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে সিলেটে রেলওয়েতে পরিবহন করতে হলে এনআইডি কার্ড সাথে থাকতে হবে। একজনের টিকেট অপরজন ব্যবহার করতে পারবেন না৷
তিনি বলেন, এতে প্রথমে কয়েকদিন হয়তো কিছু ভোগান্তি হবে। তবে টিকিট কালোবাজারি বন্ধে এছাড়া আর বিকল্প পথ নেই। একজনের টিকিটে আরেকজন ভ্রমণ বন্ধ করতে পারলে টিকিট কালোবাজারিও বন্ধ হয়ে যাবে।
 
																			

























