ঢাকা ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ইতিহাসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া রাষ্ট্রপ্রধানরা হাসিনাকে কি ভারত ফেরত দেবে? যা জানা গেল হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: চিফ প্রসিকিউটর মওলানা ভাসানীর সংস্কৃতি দর্শন সিলেটের সাময়িক অসুবিধার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বুধবার বিদ্যুৎ থাকবেনা সিলেটে পাস করলেন ৩১ শিক্ষার্থী, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭জন সিলেটে ৯টি গাড়ি অগ্নিকাণ্ডের ঘঠনা ঘটেছে সিলেটে আটক মা’কে হত্যা, ঘাতক ছেলে ফজল ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে

২১ দিনে ৭ কেজি ও জ ন কমানো কি সম্ভব ?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট পরিকল্পনা চর্চায় চলে আসে। সম্প্রতি ‘১৮-১০-০-৪-১’ শীর্ষক একটি ডায়েট ভাইরাল হয়েছে। নেপথ্যে রয়েছেন তারকা পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানি। কারণ তার এই ডায়েট পরিকল্পনা অনুসরণ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া।

রিচা তার ডায়েট পরিকল্পনায় জানিয়েছেন, এ ডায়েট অনুসরণ করলে মাত্র ২১ দিনে ৫ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে।

‘১৮-১০-৮-৪-১’ আদতে কী? 

এ পরিকল্পনায় দৈনন্দিন জীবনের পাঁচটি অভ্যাসকে কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তির বিপাকের গতি বৃদ্ধি পায় এবং দেহে প্রদাহের পরিমাণ হ্রাস পায়। প্রথমেই রিচা দিনের মধ্যে ১৮ ঘণ্টা উপোস করার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ দিনের মধ্যে খাবার খাওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকছে মাত্র ৬ ঘণ্টা। এর ফলে অতিরিক্ত ফ্যাট কমানোর জন্য যথেষ্ট সময় থাকছে।

দ্বিতীয়ত ১০ মানে দিনে ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটা। এর ফলেও সহজেই ক্যালোরি কমে যাবে। এর পাশাপাশি দেহের রক্ত সঞ্চালনের উন্নতিও ঘটবে। তৃতীয়ত ৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে বলেছেন তিনি। এর ফলে দেহে হরমোন ক্ষরণের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

চতুর্থত ৪ ঘণ্টা বরাদ্দ দেহে পানির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য। এই সময়ের মধ্যে ভেষজ চা বা ডিটক্স পানি পান করা যেতে পারে। এর ফলে কিডনি সহজেই দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পারে।

পঞ্চমত দেহের ওজনপ্রতি ১ গ্রাম প্রোটিন যেন ডায়েটে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ কারও দেহের ওজন যদি ৭০ কেজি হয়, তাহলে তাকে সারা দিনে ৭০ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।

তবে পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানি সতর্কতা করেও বলেছেন, সব ডায়েট সবার জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। সুতরাং এ ধরনের ডায়েট অনুসরণ করার আগে চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ডায়েট ক্ষতিকারক হতে পারে বলে জানান এ পুষ্টিবিদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

২১ দিনে ৭ কেজি ও জ ন কমানো কি সম্ভব ?

আপডেট সময় : ০৩:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

লাইফস্টাইল ডেস্ক :

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাঝে মধ্যেই নানা ধরনের ডায়েট পরিকল্পনা চর্চায় চলে আসে। সম্প্রতি ‘১৮-১০-০-৪-১’ শীর্ষক একটি ডায়েট ভাইরাল হয়েছে। নেপথ্যে রয়েছেন তারকা পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানি। কারণ তার এই ডায়েট পরিকল্পনা অনুসরণ করেছেন বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া।

রিচা তার ডায়েট পরিকল্পনায় জানিয়েছেন, এ ডায়েট অনুসরণ করলে মাত্র ২১ দিনে ৫ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে।

‘১৮-১০-৮-৪-১’ আদতে কী? 

এ পরিকল্পনায় দৈনন্দিন জীবনের পাঁচটি অভ্যাসকে কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তির বিপাকের গতি বৃদ্ধি পায় এবং দেহে প্রদাহের পরিমাণ হ্রাস পায়। প্রথমেই রিচা দিনের মধ্যে ১৮ ঘণ্টা উপোস করার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ দিনের মধ্যে খাবার খাওয়ার জন্য বরাদ্দ থাকছে মাত্র ৬ ঘণ্টা। এর ফলে অতিরিক্ত ফ্যাট কমানোর জন্য যথেষ্ট সময় থাকছে।

দ্বিতীয়ত ১০ মানে দিনে ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটা। এর ফলেও সহজেই ক্যালোরি কমে যাবে। এর পাশাপাশি দেহের রক্ত সঞ্চালনের উন্নতিও ঘটবে। তৃতীয়ত ৮ ঘণ্টা অবশ্যই ঘুমাতে বলেছেন তিনি। এর ফলে দেহে হরমোন ক্ষরণের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

চতুর্থত ৪ ঘণ্টা বরাদ্দ দেহে পানির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য। এই সময়ের মধ্যে ভেষজ চা বা ডিটক্স পানি পান করা যেতে পারে। এর ফলে কিডনি সহজেই দেহ থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পারে।

পঞ্চমত দেহের ওজনপ্রতি ১ গ্রাম প্রোটিন যেন ডায়েটে থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ কারও দেহের ওজন যদি ৭০ কেজি হয়, তাহলে তাকে সারা দিনে ৭০ গ্রাম প্রোটিন খেতে হবে।

তবে পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানি সতর্কতা করেও বলেছেন, সব ডায়েট সবার জন্য কার্যকরী নাও হতে পারে। সুতরাং এ ধরনের ডায়েট অনুসরণ করার আগে চিকিৎসক কিংবা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ ধরনের ডায়েট ক্ষতিকারক হতে পারে বলে জানান এ পুষ্টিবিদ।