ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান ইতিহাসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া রাষ্ট্রপ্রধানরা হাসিনাকে কি ভারত ফেরত দেবে? যা জানা গেল হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ‘অতীতের প্রতিশোধ নয়’: চিফ প্রসিকিউটর মওলানা ভাসানীর সংস্কৃতি দর্শন সিলেটের সাময়িক অসুবিধার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বুধবার বিদ্যুৎ থাকবেনা সিলেটে পাস করলেন ৩১ শিক্ষার্থী, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭জন সিলেটে ৯টি গাড়ি অগ্নিকাণ্ডের ঘঠনা ঘটেছে সিলেটে আটক মা’কে হত্যা, ঘাতক ছেলে ফজল ফেটে যাওয়া ঠোঁট যেসব টোটকায় হবে নরম ও মসৃণ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে শারীরে যে সমস্যা দেখা দিতে পারে

সিলেট লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর উৎপাত ‘টিলাগড় ইকো পার্কের’ পাশেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের বানরের আক্রমন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার :

সম্প্রতি বানরের উৎপাত বেড়েছে সিকৃবিতে। সকাল হলেই দলবেঁধে বানর ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্র ‘টিলাগড় ইকো পার্কের’ পাশেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) অবস্থান। পার্কে অন্যসব বন্যপ্রাণীদের সাথে রয়েছে বানর। বনে খাবার সংকট দেখা দেওয়ায় আশপাশ লোকালয়ে নেমে আসে বানরের দল। হানা দেয় বাসা-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলে। ঘরে ঢুকে নিয়ে যায় খাবার।

বিশেষ করে ছাত্রীদের হলগুলোতে। ক্ষুধার্ত খেপা বানর অনেক সময় আক্রমণ করে বসে ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন গেল কয়েক মাসে অনেক ছাত্রী বানরের আক্রমনের শিকার হয়েছেন। বানরের আক্রমন থেকে পরিত্রাণ পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঢাকায় প্রধান বন সংরক্ষকের সাথে বৈঠক করেছেন।

জানা গেছে, প্রতিদিন সকালে ইকোপার্ক ও আশপাশ এলাকার জঙ্গল থেকে থেকে শত শত বানর সিকৃবি ক্যাম্পাসে ঢুকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হল ‘দূররে সামাদ রহমান হল’ ও ‘সুহাসিনী দাস হল’ টিলা ও গাছপালা ঘেরা হওয়ায় বানররা সবচেয়ে বেশি বিচরণ করে ওই এলাকায়। বানরের দল সুযোগ পেলেই ঢুকে পড়ে হলের ভেতর। তাড়াতে গেলেই আক্রমন করতে বসে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বনবিভাগের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল দুটির চারপাশে নেট দিয়ে ঘেরাও দেয়। হলের আশপাশের গাছের ডালপালা ছাটাইসহ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। কিন্তু এরপরও বানরের উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রীরা জানান, দরজা-জানালা খোলা থাকলে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বানর ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঘরের ভেতর থেকে খাবার চুরি করে নিয়ে যায়। তাড়াতে গেলে খেপে যায়। তেড়ে এসে কামড় বসিয়ে দেয়। বাইরে কেউ কাপড় শুকাতে দিলে বানর নিয়ে যায়। এমনকি ক্লাসে যাওয়ার পথেও বানর আক্রমন করে।

বানরের উৎপাত বন্ধে ব্যবস্থা নিতে গতকাল বুধবার ঢাকায় বনভবনে বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. সানাউল্লাহ পাঠোয়ারী ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সাথে বৈঠক করেছেন সিকৃবির উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদার। বৈঠকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, বণ্যপ্রাণী নিয়ন্ত্রণ আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণের পরও বানরের সমস্যা সমাধান সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রী হলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বানরের উৎপাতের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে সমস্যাটির সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেট লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর উৎপাত ‘টিলাগড় ইকো পার্কের’ পাশেই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের বানরের আক্রমন

আপডেট সময় : ০২:০৫:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টার :

সম্প্রতি বানরের উৎপাত বেড়েছে সিকৃবিতে। সকাল হলেই দলবেঁধে বানর ঢুকে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকেন্দ্র ‘টিলাগড় ইকো পার্কের’ পাশেই সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) অবস্থান। পার্কে অন্যসব বন্যপ্রাণীদের সাথে রয়েছে বানর। বনে খাবার সংকট দেখা দেওয়ায় আশপাশ লোকালয়ে নেমে আসে বানরের দল। হানা দেয় বাসা-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক হলে। ঘরে ঢুকে নিয়ে যায় খাবার।

বিশেষ করে ছাত্রীদের হলগুলোতে। ক্ষুধার্ত খেপা বানর অনেক সময় আক্রমণ করে বসে ছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন গেল কয়েক মাসে অনেক ছাত্রী বানরের আক্রমনের শিকার হয়েছেন। বানরের আক্রমন থেকে পরিত্রাণ পেতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঢাকায় প্রধান বন সংরক্ষকের সাথে বৈঠক করেছেন।

জানা গেছে, প্রতিদিন সকালে ইকোপার্ক ও আশপাশ এলাকার জঙ্গল থেকে থেকে শত শত বানর সিকৃবি ক্যাম্পাসে ঢুকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসিক হল ‘দূররে সামাদ রহমান হল’ ও ‘সুহাসিনী দাস হল’ টিলা ও গাছপালা ঘেরা হওয়ায় বানররা সবচেয়ে বেশি বিচরণ করে ওই এলাকায়। বানরের দল সুযোগ পেলেই ঢুকে পড়ে হলের ভেতর। তাড়াতে গেলেই আক্রমন করতে বসে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বনবিভাগের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল দুটির চারপাশে নেট দিয়ে ঘেরাও দেয়। হলের আশপাশের গাছের ডালপালা ছাটাইসহ নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে। কিন্তু এরপরও বানরের উৎপাত নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রীরা জানান, দরজা-জানালা খোলা থাকলে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বানর ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঘরের ভেতর থেকে খাবার চুরি করে নিয়ে যায়। তাড়াতে গেলে খেপে যায়। তেড়ে এসে কামড় বসিয়ে দেয়। বাইরে কেউ কাপড় শুকাতে দিলে বানর নিয়ে যায়। এমনকি ক্লাসে যাওয়ার পথেও বানর আক্রমন করে।

বানরের উৎপাত বন্ধে ব্যবস্থা নিতে গতকাল বুধবার ঢাকায় বনভবনে বনবিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসাইন চৌধুরী, বন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. সানাউল্লাহ পাঠোয়ারী ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সাথে বৈঠক করেছেন সিকৃবির উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদার। বৈঠকে বনবিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম বলেন, বণ্যপ্রাণী নিয়ন্ত্রণ আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণের পরও বানরের সমস্যা সমাধান সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্রী হলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বানরের উৎপাতের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে সমস্যাটির সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হবেন।