ঢাকা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু সিলেট শাহ মাদানী ঈদগাহ ইকোপার্ক সড়কের ঢালাই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শ্রীমঙ্গলে টাকার জন্য কলেজ ছাত্র খুন – গ্রেফতার ২ সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা

গাজায় এক কেজি চিনি ৭০০০, আলু ২৮০০ টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:২১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

গাজা যেন জাহান্নাম! আর এই সুন্দর জায়গাটিকে জাহান্নাম বানানোর নেপথ্যে ইসরাইল। মৃত্যু যেখানে স্বাভাবিক, সেখানে আহার তো বিলাসিতা! অনাহারেই দিন কাটে বেশিরভাগ মানুষের। না খেয়ে কঙ্কালসার হয় অসংখ্য শিশু-কিশোর-আবাল।  ত্রাণশিবিরে মানুষের হুড়োহুড়ি নিত্য ঘটনা। বাজারে জিনিসের দাম আকাশচুম্বি।

গাজায় ‘পার্লে জি’র মতো বিস্কুটের দাম নিয়ে করা একটি ভাইরাল পোস্ট সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, এক প্যাকেট ‘পার্লে জি’ বিস্কুট গাজায় কিনতে হচ্ছে ২৪ ইউরো দিয়ে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৩০০ টাকা! কিন্তু শুধু বিস্কুট নয়, গাজার বাজারে বিক্রি হওয়া অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’তে প্রকাশিত এক তালিকায় উঠে এসেছে গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য! এক লিটার রান্নার তেলের দাম প্রায় ছয় হাজার টাকা। আবার এক কেজি চিনির দাম ৭,০০০ ছাড়িয়েছে। এক কেজি গুঁড়ো দুধ কিনতে গাজাবাসীকে ব্যয় করতে হচ্ছে ১২২৪ টাকা, ময়দা বিক্রি হচ্ছে  দুই হাজার একশো টাকা প্রতি কেজিতে। এক কেজি লবণের দাম ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি আলু ২,৮০০ টাকা, টমেটো ১,৫৭৪ টাকা। মুসুর ডাল গাজার বাজারে প্রতি কেজি বিকোচ্ছে ১২২৪ টাকায়। আর মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ টাকা।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই উদ্বেগ প্রকাশ করছে জাতিসংঘ। ইসরাইলের ‘অবরোধের’ কারণে গাজায় ত্রাণ এবং মানবিক সাহায্য প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আপত্তিতে ইসরাইল সুর নরম করে। গাজায় ত্রাণ বা মানবিক সাহায্য প্রবেশ শিথিল করে ইসরাইল সরকার। কিন্তু এখন যে পরিমাণ ত্রাণ যাচ্ছে, গাজাবাসীর জন্য তা যথেষ্ট নয়! শুধু তা-ই নয়, পর পর ইসরাইলি হামলায় গাজায় কাজ নেই সাধারণ মানুষের, আয় বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে এতো টাকা খরচ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাজায় এক কেজি চিনি ৭০০০, আলু ২৮০০ টাকা

আপডেট সময় : ০২:২১:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

গাজা যেন জাহান্নাম! আর এই সুন্দর জায়গাটিকে জাহান্নাম বানানোর নেপথ্যে ইসরাইল। মৃত্যু যেখানে স্বাভাবিক, সেখানে আহার তো বিলাসিতা! অনাহারেই দিন কাটে বেশিরভাগ মানুষের। না খেয়ে কঙ্কালসার হয় অসংখ্য শিশু-কিশোর-আবাল।  ত্রাণশিবিরে মানুষের হুড়োহুড়ি নিত্য ঘটনা। বাজারে জিনিসের দাম আকাশচুম্বি।

গাজায় ‘পার্লে জি’র মতো বিস্কুটের দাম নিয়ে করা একটি ভাইরাল পোস্ট সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছে। দাবি করা হচ্ছে, এক প্যাকেট ‘পার্লে জি’ বিস্কুট গাজায় কিনতে হচ্ছে ২৪ ইউরো দিয়ে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩৩০০ টাকা! কিন্তু শুধু বিস্কুট নয়, গাজার বাজারে বিক্রি হওয়া অন্যান্য পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’তে প্রকাশিত এক তালিকায় উঠে এসেছে গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য! এক লিটার রান্নার তেলের দাম প্রায় ছয় হাজার টাকা। আবার এক কেজি চিনির দাম ৭,০০০ ছাড়িয়েছে। এক কেজি গুঁড়ো দুধ কিনতে গাজাবাসীকে ব্যয় করতে হচ্ছে ১২২৪ টাকা, ময়দা বিক্রি হচ্ছে  দুই হাজার একশো টাকা প্রতি কেজিতে। এক কেজি লবণের দাম ৭০০ টাকা। প্রতি কেজি আলু ২,৮০০ টাকা, টমেটো ১,৫৭৪ টাকা। মুসুর ডাল গাজার বাজারে প্রতি কেজি বিকোচ্ছে ১২২৪ টাকায়। আর মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ টাকা।

গাজার পরিস্থিতি নিয়ে প্রায়ই উদ্বেগ প্রকাশ করছে জাতিসংঘ। ইসরাইলের ‘অবরোধের’ কারণে গাজায় ত্রাণ এবং মানবিক সাহায্য প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আপত্তিতে ইসরাইল সুর নরম করে। গাজায় ত্রাণ বা মানবিক সাহায্য প্রবেশ শিথিল করে ইসরাইল সরকার। কিন্তু এখন যে পরিমাণ ত্রাণ যাচ্ছে, গাজাবাসীর জন্য তা যথেষ্ট নয়! শুধু তা-ই নয়, পর পর ইসরাইলি হামলায় গাজায় কাজ নেই সাধারণ মানুষের, আয় বন্ধ। এ পরিস্থিতিতে এতো টাকা খরচ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকেই।