ঢাকা ০৫:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু সিলেট শাহ মাদানী ঈদগাহ ইকোপার্ক সড়কের ঢালাই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শ্রীমঙ্গলে টাকার জন্য কলেজ ছাত্র খুন – গ্রেফতার ২ সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা

গাজার ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস,মসজিদে আজান বন্ধের নির্দেশ ইসরাইলের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

ইসরাইলের হামলায় ভেঙে চুরমার হয়েছে গাজার বহু মসজিদ। 

ভিউ নিউজ ৭১ডেস্ক :

ইসরাইলের মসজিদে মাইকে আজান দেওয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির। আজান দেওয়াকে ‘শব্দদূষণ’ আখ্যা দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। রোববার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জেলা পুলিশ কমান্ডারদের উদ্দেশে বেন-গাভির বলেছেন, ‘আমি তোমাদের নিয়োগ দিয়েছি আমার নীতি বাস্তবায়নের জন্য।

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেন-গাভির ঘোষণা করেন, মসজিদগুলো আর মাইকে আজান দিতে পারবে না। ওই সময় থেকেই একটি বিতর্কিত নীতি চালু করা হয় দেশটিতে। যার আওতায় পুলিশ চাইলেই মসজিদে প্রবেশ করে আজান সম্প্রচারে ব্যবহৃত লাউডস্পিকারগুলো জব্দ করতে পারবে। বৈঠকে বেন-গাভির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, অনেক পুলিশ কর্মকর্তা তার নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছেন না। এমনকি জরিমানা আরোপেও গাফিলতি করছেন। তবে তিনি কেন্দ্রীয় জেলার পুলিশ কমান্ডারের প্রশংসা করেছেন। যিনি এ সময়ের মধ্যে মসজিদগুলোর বিরুদ্ধে ভারী জরিমানা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছেন। 

এদিকে কয়েকজন জেলা পুলিশ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের চাপ প্রয়োগ আরব ও মিশ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করতে পারে এবং এতে সংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে। বেন-গাভিরের এ নির্দেশনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ পদক্ষেপকে মুসলমানদের অনুভূতির প্রতি চরম অবমাননা এবং ধর্মীয় অধিকারের ওপর প্রকাশ্য আগ্রাসন হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন তারা। হামাহ বলেছে, ইসরাইলি সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের হামলা ও দমন-পীড়ন জনগণের ক্ষোভ বাড়াবে এবং নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে বলেও জানিয়েছে তারা।

এরই মধ্যে গাজার দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের আনসার মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। সোমবার দুপুরে চালানো এক বিমান হামলায় এই ঐতিহাসিক মসজিদটির প্রায় সব দেওয়াল ধসে পড়ে এবং প্রধান গম্বুজ ও স্তম্ভগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলায় মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১৬৭টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া তিনটি গির্জা ও ৬০টির মধ্যে ১৯টি কবরস্থান পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে ইসরাইল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

গাজার ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস,মসজিদে আজান বন্ধের নির্দেশ ইসরাইলের

আপডেট সময় : ০৪:২৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

ইসরাইলের হামলায় ভেঙে চুরমার হয়েছে গাজার বহু মসজিদ। 

ভিউ নিউজ ৭১ডেস্ক :

ইসরাইলের মসজিদে মাইকে আজান দেওয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির। আজান দেওয়াকে ‘শব্দদূষণ’ আখ্যা দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি। রোববার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ জানিয়েছে, সম্প্রতি এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জেলা পুলিশ কমান্ডারদের উদ্দেশে বেন-গাভির বলেছেন, ‘আমি তোমাদের নিয়োগ দিয়েছি আমার নীতি বাস্তবায়নের জন্য।

এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বেন-গাভির ঘোষণা করেন, মসজিদগুলো আর মাইকে আজান দিতে পারবে না। ওই সময় থেকেই একটি বিতর্কিত নীতি চালু করা হয় দেশটিতে। যার আওতায় পুলিশ চাইলেই মসজিদে প্রবেশ করে আজান সম্প্রচারে ব্যবহৃত লাউডস্পিকারগুলো জব্দ করতে পারবে। বৈঠকে বেন-গাভির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, অনেক পুলিশ কর্মকর্তা তার নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করছেন না। এমনকি জরিমানা আরোপেও গাফিলতি করছেন। তবে তিনি কেন্দ্রীয় জেলার পুলিশ কমান্ডারের প্রশংসা করেছেন। যিনি এ সময়ের মধ্যে মসজিদগুলোর বিরুদ্ধে ভারী জরিমানা আরোপের পদক্ষেপ নিয়েছেন। 

এদিকে কয়েকজন জেলা পুলিশ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের চাপ প্রয়োগ আরব ও মিশ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করতে পারে এবং এতে সংঘর্ষের আশঙ্কাও রয়েছে। বেন-গাভিরের এ নির্দেশনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ পদক্ষেপকে মুসলমানদের অনুভূতির প্রতি চরম অবমাননা এবং ধর্মীয় অধিকারের ওপর প্রকাশ্য আগ্রাসন হিসাবে আখ্যা দিয়েছেন তারা। হামাহ বলেছে, ইসরাইলি সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের হামলা ও দমন-পীড়ন জনগণের ক্ষোভ বাড়াবে এবং নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করবে বলেও জানিয়েছে তারা।

এরই মধ্যে গাজার দেইর আল-বালাহ অঞ্চলের আনসার মসজিদ ধ্বংস করেছে ইসরাইল। সোমবার দুপুরে চালানো এক বিমান হামলায় এই ঐতিহাসিক মসজিদটির প্রায় সব দেওয়াল ধসে পড়ে এবং প্রধান গম্বুজ ও স্তম্ভগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলায় মসজিদসংলগ্ন কবরস্থানেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৮২৮টি মসজিদ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১৬৭টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া তিনটি গির্জা ও ৬০টির মধ্যে ১৯টি কবরস্থান পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে যাচ্ছে ইসরাইল।