ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান সিলেটে বিভাগে ভালো ফলন, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে আশাবাদী কৃষি বিভাগ  সিলেটে ইয়াবাসহ গ্রেফতার২ সিলেটে বিএনপি কার্যালয় অগ্নি সংযোগ – আ.লীগ নেতা গ্রেফতার  সিলেটের ৬ জন কক্সবাজারের গিয়ে নিখোঁজ, জাতিসংঘকে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশি নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান ড. ইউনূস শায়েস্তাগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৫টি দোকান পুড়ে চাই কোটি টাকার ক্ষতি চুনারুঘাটে প্রকাশ্য দিবালোকে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা গোয়াইনঘাটে টাস্কফোর্সের অভিযান: ১৫ টি নৌকা, ১০ টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ব্যর্থ বাংলাদেশ জামায়াতে যোগ দেওয়া নেতাকে ব হি ষ্কা র করলো ছাত্রদল

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি-ব্যাখ্যা জ্বালানি বিভাগের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬৫ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই দামের কথা জানানো হয়। এরপর সন্ধ্যায় এই দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। ফেব্রুয়ারি বিলিং মাস থেকে প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা (সমন্বয়ের হার ৫ দশমিক ৩৬ ভাগ) এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা (সমন্বয়ের হার ২ দশমিক ৫০ ভাগ) নির্ধারণ করা হয়েছে।মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ ভাগ, শিল্পে ২৩ ভাগ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ ভাগ, গৃহস্থালিতে ১০ ভাগ, সার উৎপাদনে ৭ ভাগ, সিএনজিতে ৪ ভাগ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ ভাগ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি বা ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরও বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।এই মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজি’র বর্তমান বাজার মূল্য  ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ৬০০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে, জানায় জ্বালানি বিভাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি-ব্যাখ্যা জ্বালানি বিভাগের

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক :

বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এই দামের কথা জানানো হয়। এরপর সন্ধ্যায় এই দাম বৃদ্ধির বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ব্যাখ্যায় বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৩৪ক-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। ফেব্রুয়ারি বিলিং মাস থেকে প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা থেকে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা (সমন্বয়ের হার ৫ দশমিক ৩৬ ভাগ) এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা (সমন্বয়ের হার ২ দশমিক ৫০ ভাগ) নির্ধারণ করা হয়েছে।মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারীদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭ ভাগ, শিল্পে ২৩ ভাগ, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮ ভাগ, গৃহস্থালিতে ১০ ভাগ, সার উৎপাদনে ৭ ভাগ, সিএনজিতে ৪ ভাগ এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১ ভাগ গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি বা ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬ হাজার ৫৭০ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরও বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।এই মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজি’র বর্তমান বাজার মূল্য  ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ৬০০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে, জানায় জ্বালানি বিভাগ।