ঢাকা ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান বিএনপি ক্ষমতায় গেলে শিক্ষিত বেকার ভাতা চালু করবে: তারেক রহমান সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করবেন না: এনসিপি বিশেষজ্ঞদের দাবি, হাসি বাড়াবে আয়ু কল্পনাশক্তি মানুষকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে: প্রধান উপদেষ্টা বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ হবিগঞ্জে বিজিবি’র অভিযান দেড় কোটি মূল্যের পণ্য ও ১টি ট্রাক আটক জৈন্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আসছে ‘জনতার পার্টি বাংলাদেশ’ দীর্ঘদিন থেকে ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে (বাংকার) থেকে পাথর লুটপাট হচ্ছে সরকারি চাল আত্মসাতে বিএনপি নেতার কারাদণ্ড

বিয়ানীবাজারের শেওলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ‘মা সমাবেশ’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টারঃ- শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার র্নিদেশ- শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ” , “শিক্ষিত মা এক সুরভিত ফুল- প্রতিটি ঘর হবে এক একটি স্কুল” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে ”মা সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ইং বৃহস্প্রতিবার সকাল ১১টায় শেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ”মা সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহকারি শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, একজন আদর্শ মা একটি আদর্শ পরিবার গঠন করতে পারে। একজন শিক্ষার্থীকে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে একজন মা-ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সন্তানের পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে একজন আদর্শ মায়ের হস্তক্ষেপ থাকলে সন্তান তার কাঙ্কিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।প্রতিটি সন্তানকে সঠিক গাইড দিয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক সমন্বয়ে মা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমীন তালুকদার নেপোলিয়ন বোনাপার্টের প্রখ্যাত উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিব”। সুতরাং একথা অনস্বীকার্য যে, সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকাই প্রধান। সন্তানের নৈতিক চরিত্র গঠন আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় অভিভাবক হিসেবে মায়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি, যাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার ভীত তৈরি হয়ে গেলে তা আরো বাস্তবমূখি ও গুণগত মানের হয়ে উঠবে এতে কোন সন্দেহ নেই। জন্মের পর অসহায় শিশুকে শত প্রতিকুলতা পেরিয়ে মা-ই কথা বলতে, পথ চলতে শেখান। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকাই অপরিসীম। প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে একটি শিশুর সুদীর্ঘ পথ-পরিক্রমার প্রারম্ভিক ধাপ। মায়ের হাত ধরে একটি শিশু প্রথমবারের মতো বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পা রাখে, তখন শুরু হয় তার নতুন জগতে পথচলা। আর এই নতুন পথচলাকে আরো মসৃণ করতে একজন মায়ের সচেতনতাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিশু দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে অবস্হান করে সেক্ষেত্রে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সাথে তৈরি হয় মিথস্ক্রিয়ার অবারিত সুযোগ। যার ফলে একজন শিশুর প্রকাশভঙ্গি, আচরণ শেখার ধরন অন্য শিশুদের চেয়ে ভিন্ন। আর এই বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ হয় একজন শিক্ষকের । মা ও শিক্ষকের সঠিক পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি অনুসরণ করলে একটি শিশু ভবিষ্যতে শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেক্ষেত্রে মা সমাবেশের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতিতে নিয়মিত মা- সমাবেশ আয়োজন সন্তানের সঠিক ও সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বিধায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুশিক্ষার প্রতি বিশেষ ভাবে নজরদারি রাখার জন্যই মূলত এই মা সমাবেশের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মা সমাবেশের মাধ্যমে শিশুর আচার- আচরণ সম্পর্কে অবহিত করা, শিশুর মধ্যে কোন অস্বাভাবিকতা থাকলে তা জানা,শিশুর শারীরিক- মানসিক অবস্হা সম্পর্কে শিক্ষক ও অভিভাবক/ মা’দের মধ্যে তথ্য বিনিময় করা। কোন শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে আসার ক্ষেত্রে কেমন আগ্রহ তা জানা বা বিদ্যালয়ে না আসার প্রবণতা থাকলে তার কারণ উদ্ঘাটন করা হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী কেমন ফলাফল করছে এসব বিষয়ে মা’দের অবহিত করা হয়, যাতে আশানুরূপ ফলাফল মা তার সন্তানের প্রতি আরো যত্মবান হতে পারেন মা সমাবেশের মাধ্যমে অভিভাবক/ মাকে শিশু সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, শিশুর ঘাটতিগুলো শনাক্ত করে নিরাময়মূলক ব্যবস্হা গ্রহন করা, শিশুর জন্য পরিবার এবং বিদ্যালয়ের আস্হাশীল পরিবেশ বজায় রাখা, শিশুর পাঠদানের তদারকি করা ও পাঠদানের ক্ষেত্রে শিশুকে আরো আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটি দিন তারিখে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবক/ মা’দের নিয়ে “মা সমাবেশ” অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক তাজুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারি শিক্ষক জামাল হোসেন, মনিকা রানী বিশ্বাষ, রেখা রানী পাল, শরমিষ্ঠা দে বৃষ্টি ও তানজিলা শিরিন প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিয়ানীবাজারের শেওলায় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতে ‘মা সমাবেশ’

আপডেট সময় : ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টারঃ- শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার র্নিদেশ- শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ” , “শিক্ষিত মা এক সুরভিত ফুল- প্রতিটি ঘর হবে এক একটি স্কুল” এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে ”মা সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ইং বৃহস্প্রতিবার সকাল ১১টায় শেওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ”মা সমাবেশ” অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সহকারি শিক্ষক মোঃ জামাল হোসেনের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, একজন আদর্শ মা একটি আদর্শ পরিবার গঠন করতে পারে। একজন শিক্ষার্থীকে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে একজন মা-ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সন্তানের পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে একজন আদর্শ মায়ের হস্তক্ষেপ থাকলে সন্তান তার কাঙ্কিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।প্রতিটি সন্তানকে সঠিক গাইড দিয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক সমন্বয়ে মা সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিলেটের সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমীন তালুকদার নেপোলিয়ন বোনাপার্টের প্রখ্যাত উদ্ধৃতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিব”। সুতরাং একথা অনস্বীকার্য যে, সন্তানের ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকাই প্রধান। সন্তানের নৈতিক চরিত্র গঠন আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় অভিভাবক হিসেবে মায়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি, যাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষার ভীত তৈরি হয়ে গেলে তা আরো বাস্তবমূখি ও গুণগত মানের হয়ে উঠবে এতে কোন সন্দেহ নেই। জন্মের পর অসহায় শিশুকে শত প্রতিকুলতা পেরিয়ে মা-ই কথা বলতে, পথ চলতে শেখান। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গঠনে মায়ের ভূমিকাই অপরিসীম। প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে একটি শিশুর সুদীর্ঘ পথ-পরিক্রমার প্রারম্ভিক ধাপ। মায়ের হাত ধরে একটি শিশু প্রথমবারের মতো বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় পা রাখে, তখন শুরু হয় তার নতুন জগতে পথচলা। আর এই নতুন পথচলাকে আরো মসৃণ করতে একজন মায়ের সচেতনতাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিশু দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে অবস্হান করে সেক্ষেত্রে সহপাঠী ও শিক্ষকদের সাথে তৈরি হয় মিথস্ক্রিয়ার অবারিত সুযোগ। যার ফলে একজন শিশুর প্রকাশভঙ্গি, আচরণ শেখার ধরন অন্য শিশুদের চেয়ে ভিন্ন। আর এই বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে পর্যবেক্ষণের সুযোগ হয় একজন শিক্ষকের । মা ও শিক্ষকের সঠিক পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি অনুসরণ করলে একটি শিশু ভবিষ্যতে শিক্ষিত ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সেক্ষেত্রে মা সমাবেশের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতিতে নিয়মিত মা- সমাবেশ আয়োজন সন্তানের সঠিক ও সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে অনন্য ভূমিকা পালন করে থাকে। বিধায় সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুশিক্ষার প্রতি বিশেষ ভাবে নজরদারি রাখার জন্যই মূলত এই মা সমাবেশের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মা সমাবেশের মাধ্যমে শিশুর আচার- আচরণ সম্পর্কে অবহিত করা, শিশুর মধ্যে কোন অস্বাভাবিকতা থাকলে তা জানা,শিশুর শারীরিক- মানসিক অবস্হা সম্পর্কে শিক্ষক ও অভিভাবক/ মা’দের মধ্যে তথ্য বিনিময় করা। কোন শিক্ষার্থীর বিদ্যালয়ে আসার ক্ষেত্রে কেমন আগ্রহ তা জানা বা বিদ্যালয়ে না আসার প্রবণতা থাকলে তার কারণ উদ্ঘাটন করা হয়। শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী কেমন ফলাফল করছে এসব বিষয়ে মা’দের অবহিত করা হয়, যাতে আশানুরূপ ফলাফল মা তার সন্তানের প্রতি আরো যত্মবান হতে পারেন মা সমাবেশের মাধ্যমে অভিভাবক/ মাকে শিশু সম্পর্কে সচেতন করে তোলা, শিশুর ঘাটতিগুলো শনাক্ত করে নিরাময়মূলক ব্যবস্হা গ্রহন করা, শিশুর জন্য পরিবার এবং বিদ্যালয়ের আস্হাশীল পরিবেশ বজায় রাখা, শিশুর পাঠদানের তদারকি করা ও পাঠদানের ক্ষেত্রে শিশুকে আরো আগ্রহী করে তোলার জন্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটি দিন তারিখে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবক/ মা’দের নিয়ে “মা সমাবেশ” অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অভিভাবক তাজুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক/ শিক্ষিকাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহকারি শিক্ষক জামাল হোসেন, মনিকা রানী বিশ্বাষ, রেখা রানী পাল, শরমিষ্ঠা দে বৃষ্টি ও তানজিলা শিরিন প্রমূখ।