ঢাকা ০৬:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা এখনো আক্রমণের মুখে: সম্পাদক পরিষদ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাষ্টের মাসবপ্যাপী সেহরি বিতরণ চলমান প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে দ্রু ত নিয়োগের নির্দেশ ১৫ টাকা দরে চাল পাবে ৫৫ লাখ পরিবার গাড়ি থামিয়ে ঘুষ আদায়, ওসিসহ ৬ পুলিশ প্রত্যাহার মৌলভীবাজার কুলাউড়ায় চাঁদাবাজি – সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে পুলিশ ঢাকায় বিমানের সাথে বৈঠক করলেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা তিনমাস পর বিমানের সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট চালু সিলেট শাহ মাদানী ঈদগাহ ইকোপার্ক সড়কের ঢালাই কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শ্রীমঙ্গলে টাকার জন্য কলেজ ছাত্র খুন – গ্রেফতার ২ সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, যা বললেন এনসিপি নেতা

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক:

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেছেন,১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার,আল বদর,আল শামসরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল । সেই শোক কাটিয়ে এখন আমরা উন্নতির পথে।যদি আমরা এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে সক্ষম হই,তাহলে ২০৪১ সালের আগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় তিনি আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিনটি সবসময় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে।আপনারা জানেন,পাকিস্তান আমলে যখনই পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করতো তখনই এদেশের বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করতো।এসব কারণে কিন্তু ২৫শে মার্চ কাল রাত থেকেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা শুরু করে পাকিস্তানীরা এবং পুরো মুক্তিযুদ্ধব্যাপী কিন্তু তাদেরকে ধরে ধরে হত্যা করেছে।

দীর্ঘ ৫২ বছরেও এই বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের এখনো বিচার করা সম্ভব হয়নি।নানা জটিলতার পরও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে সকল রাষ্ট্রগুলো মানবতার কথা,মানবাধিকারের সার্টিফিকেট দেই তারাই এই হত্যাকারীদেরকে তাদের দেশে আশ্রয় দিচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যারা একাত্তর এবং পঁচাত্তরে এ দেশের মানুষ এবং মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদেরকে যেন বিচারের আওতায় আনেন।তিনি যোগ কেরন।

এর আগে সূর্যোদয়ের পর পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।পরে সকাল সাড়ে দশটায় কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে হতে শোকর‍্যালি বের হয়।র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ।পরে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.মো.জামাল উদ্দিন ভুঁঞা।

জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সা’দ উদ্দিন মাহফুজের সঞ্চালনায় উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন ও বক্তব্য শেষে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানান জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি,ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর,প্রক্টরিয়াল বডি,শিক্ষক সমিতি,ডিন কাউন্সিল,প্রভোষ্ট কাউন্সিল,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা,গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ,সাদা দল,অফিসার পরিষদ,গণতান্ত্রিক অফিসার পরিষদ,কর্মচারি পরিষদ,আবাসিক হলসমূহ,কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ,ফটোগ্রাফিক সোসাইটিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী,সিকৃবি সাংবাদিক সমিতি,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

আপডেট সময় : ১২:৫৯:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩

ভিউ নিউজ ৭১ ডেস্ক:

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেছেন,১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার,আল বদর,আল শামসরা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল । সেই শোক কাটিয়ে এখন আমরা উন্নতির পথে।যদি আমরা এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে সক্ষম হই,তাহলে ২০৪১ সালের আগে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা এগারোটায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় তিনি আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিনটি সবসময় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে।আপনারা জানেন,পাকিস্তান আমলে যখনই পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করতো তখনই এদেশের বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করতো।এসব কারণে কিন্তু ২৫শে মার্চ কাল রাত থেকেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা শুরু করে পাকিস্তানীরা এবং পুরো মুক্তিযুদ্ধব্যাপী কিন্তু তাদেরকে ধরে ধরে হত্যা করেছে।

দীর্ঘ ৫২ বছরেও এই বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের এখনো বিচার করা সম্ভব হয়নি।নানা জটিলতার পরও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে সকল রাষ্ট্রগুলো মানবতার কথা,মানবাধিকারের সার্টিফিকেট দেই তারাই এই হত্যাকারীদেরকে তাদের দেশে আশ্রয় দিচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব যারা একাত্তর এবং পঁচাত্তরে এ দেশের মানুষ এবং মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদেরকে যেন বিচারের আওতায় আনেন।তিনি যোগ কেরন।

এর আগে সূর্যোদয়ের পর পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।পরে সকাল সাড়ে দশটায় কালো ব্যাজ ধারণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে হতে শোকর‍্যালি বের হয়।র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ।পরে একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.মো.জামাল উদ্দিন ভুঁঞা।

জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সা’দ উদ্দিন মাহফুজের সঞ্চালনায় উপাচার্যের শ্রদ্ধা নিবেদন ও বক্তব্য শেষে একে একে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানান জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি,ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর,প্রক্টরিয়াল বডি,শিক্ষক সমিতি,ডিন কাউন্সিল,প্রভোষ্ট কাউন্সিল,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা,গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ,সাদা দল,অফিসার পরিষদ,গণতান্ত্রিক অফিসার পরিষদ,কর্মচারি পরিষদ,আবাসিক হলসমূহ,কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ,ফটোগ্রাফিক সোসাইটিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীবৃন্দ।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,কর্মকর্তা,কর্মচারী,সিকৃবি সাংবাদিক সমিতি,বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিকৃবি শাখার সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি